আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মকে পরিহার নয়, প্রয়োজন ধর্মের সঠিক চর্চার

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

পাকিস্তানের জন্মের পর পশ্চিম পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে তাদের ইচ্ছাগুলো চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল বাংগালী জাতির উপর। শেষপর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাই তার প্রমান। এটা ঠিক না ঐটা ঠিক, জাতীয় কর্থাবাতা যখন মানুষ জোর দিয়ে বলতে শুরু করে তখনই বুঝতে অসুবিধা হয় না এর পিছনে হিপোক্রেটিক চিন্তাভাবনা লুকিয়ে থাকে। ধরুন আপনার সামনে ভাত, রুটি আর বার্গার রাখা আছে। এখন যদি কেউ বলে বার্গার খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না, এবং এর পেছনে সে যদি যুক্তিযুক্ত কারনগুলো দেখায় তাহলে তাকে হিতাকাংখী মনে করে বার্গার খাওয়াটা হয়ত পরিহার করতে পারেন।

কিন্তু সে যদি জোর করে বলে তুমি বার্গার খেতেই পারবেনা তাহলে বুঝতে হবে সে তার পছন্দ অপছন্দগুলো আপনার ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। এবার আসি ধর্মের প্রসংগে। আমাদের দেশের একটি ক্ষুদ্র শ্রেনীর লোক যারা নিজেদেরকে মনে করে প্রগতিশীল এবং সকল আধুনিক চিন্তাধারার ধারক এবং বাহক, তারা সবসময় চেষ্টা করেছে ইসলামকে স্বাধীনতার চেতনার বিপক্ষ শক্তি হিসাবে দাড় করাতে। দেশ বা জাতির প্রগতির ক্ষেত্রে ইসলামকে বাধা হিসাবেও চিন্হিত করার চেষ্টা করে গেছে এরা প্রতিনিয়ত। আমি মনে করি দেশ বা জাতির অগ্রগতিতে এই ক্ষুদ্র শ্রেনীর ভুমিকা অতি নগন্য।

বাংলাদেশে ৯০% মুসলিম জনগোষ্টি থেকে এরা বিচ্ছিন্ন বললেও অত্যুক্তি হয় না। বাংলাদেশকে ওরা স্বাধীন করেনি, স্বাধীন করেছে দেশের আপামর জনগন। এরা না থাকলেও এদেশের জনগন নিজেদেরকে স্বাধীন করত, অত্যাচারী পাকিস্তানী শাসকগোষ্টি থেকে। শেখ মুজিব তার জীবনের শেষ বছরগুলোতে একজন মুসলমান হওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রতিনিয়ত, কেননা তার উপলব্দি ঘটেছিল এদেশের বৃহত জনগোষ্টি ধর্মপ্রান মুসলমান। ওআইসিতে যোগদান, মদ, জুয়া নিষিদ্ধকরন, ইসলামী ফাউন্ডেশেনর পুনরোজ্জীবিতকরন, ভাষনে ইসলামী মুল্যবোধের উল্লেখ করা ইত্যাদি তাই প্রমান করে।

তুরস্কের দিকে তাকালে দেখা যায় যে সেদেশের এককালীন সেক্যুলার শাসকেরা আইন করেও ইসলামকে প্রতিহত করতে পারেনি। ইসলামী দলগুলো এখন শাসন ক্ষমতায়, কেননা তুরস্কের সিংহভাগ মানুষ মুসলমান। তাই দেশের মংগলপ্রার্থি ইন্টেলেকচ্যুয়ালদের উচিত হবে দেশের মানুষের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, দেশের মানুষকে প্রগতিশীল চিন্তার সাথে সম্পৃক্ত করা। ধর্মের সাথে কোনপ্রকার সংঘর্ষে না যাওয়া। ধর্মকে কোনঠাসা করার যে কোন অপচেষ্টা, ধর্মব্যবসায়ীদের জন্য আশির্বাদ হবে।

তারা সফল হবে দেশের সংখাগরিষ্ঠ জনগনের সহানুভুতি আদায়ে। ধর্ম শেষপর্যন্ত এইসব অপশক্তির হাতিয়ার স্বরূপ ব্যবহ্রুত হবে। তাই ধর্মকে পরিহার নয় ধর্মের প্রকৃত চর্চায় হবে দেশের জন্য মংগলজনক। "ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না' ধর্মের যদি চর্চাই না থাকে তাহলে এই শিক্ষায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীলতায় জাতিকে শিক্ষা দিবেন কিভাবে। তখন কাঠমোল্লাদের বিকৃত ব্যাখ্যায় অমুসলিমদের প্রতি অসহনশীল হওয়ার চর্চাটি চর্চিত হতে থাকবে অসচেতন জনগনের মাঝে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.