আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মকে কেন অসম্মান?

প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবারহলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই।

যার যার ধর্ম তার তার। কোনো সন্দেহ নেই। যে কেউ তার বিশ্বাসকে উপস্থাপন করতে পারে। তাতে কোনো সমস্যাও নেই। কিন্তু একটা বিষয় আমার কাছে খুব অপরিষ্কার।

কিছু মানুষকে দেখা যায় শুধুশুধুই ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা/ফাইজলামি/কটাক্ষ/ পরিহাস/ কৌতুক করতে। এক কথায় বললে, কিছু মানুষ ধর্মকে অবমাননা করে লেখালেখি করে। এই কাজটা তারা কেন করে , কি উদ্দেশ্যে করে তা পরিষ্কার নয়। একজন লেখকের কাজ হতে পারে জ্ঞানের চর্চা করা, সমাজের নানা অসঙ্গতির চিত্র পাঠকের সামনে তুলে ধরা, মানুষকে যে কোনো বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা দেয়া। কিন্তু মানুষের বিশ্বাসের অনুভূতিতে আঘাত করা কখনোই কাম্য নয়।

ধর্মীয় অনুভূতি মানুষের ভেতরে লালিত এক বিশ্বাস, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন কিংবা ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে কেঊ বাজে কোনো মন্তব্য করলে যে কষ্ট হয়, ধর্ম কে নিয়ে করলে তারচেয়ে বহুগুন বেশী কষ্ট হতে পারে। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ, সুশীল সমাজের মানুষ সে ব্লগার হোক কিংবা লেখক হোক, কখনোই মানুষের একান্ত অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারেন না। একজন লেখক কিংবা ব্লগারকে মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা যে রাষ্ট্র দিয়েছে, সে রাষ্ট্রই এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করতে নিষেধ করে দিয়েছে। কোনো ভাবেই কারও ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, “অবশ্যই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করি না”। সীমা লঙ্ঘনকারীদের কেউই ভালবাসেনা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.