আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিএসসি’র সততা এবং স্বচ্ছতা

আমাদের ভয় দেখিয়ে করছ শাসন, জয় দেখিয়ে নয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন সচরাচর করা হয় না যেগুলোর উত্তর নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। কিন্তু পিএসসির প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ থেকে যায়। কোন প্রশ্নের কি উত্তর তারা ধরলেন, সেটা অবশ্যই তাদের প্রকাশ করা উচিত। এছাড়া কে কত নম্বর পেয়েছে, সেটাও প্রকাশ করা উচ্তি, যদি তারা স্বচ্ছ হতে চায়। অবশ্য মতলব খারাপ থাকলে তারা তা করবে না।

যত গোপনীয়তা তত ভালো তাদের কাছে। ৩৪তম বিসিএস-এ বিভিন্ন জনের জন্য কাট মার্ক যে বিভিন্ন হয়েছে এ সত্যটা কিন্তু পিএসসি প্রথমে মানতে চায়নি। সকল আবেদনকারীর প্রাপ্ত নম্বর এবং কাট মার্ক কত সেটা অবশ্যই পিএসির প্রকাশ করা উচিত। এটা করলে অসুবিধার কোন কারণ নেই। বরং এটা করতে না চাওয়াই নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

ওএমআর মেশিনে স্ক্যান করে ফল প্রকাশ করতে কেন দেড় মাস লাগে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ না রেখে পূর্বের মত ১০০ করা উচিত। ১০/১৫ মিনিটের মৌখিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের কোন মানে নেই। এটা অন্যায়ের সুযোগ তৈরি করে। পিএসসি’র অনিয়ম বিএনপি আমলে হলে কথিত সুশীলরা গেল গেল রব তুললেও এখন মৌনতাই পছন্দ করছেন।

দুই লাখ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৪২ বছর পরও ৩০% কোটা সমর্থন করছেন। নাতি-পুতিদের জন্য কোটা সমর্থন করছেন। অথচ অনেক মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তান মানবেতর জীবনযাপন করছে। সে নিয়ে তারা কথা না বলছেন না তারা। বরং মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট যা নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন ছিল, সেই সার্টিফিকেট নিয়ে কোটা সুবিধা নেয়ার পক্ষে কথা বছলেন।

কেন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তিকারী সংগঠনগুলো কোটার পক্ষে দাঁড়িয়েছে? উত্তরটা সবার জানা। এখন শাহবাগ চত্বর খালি করা জরুরি হয়ে পড়েছে পুলিশের। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.