হরবোলা ছোট-খাটো কালো ছিপ-ছিপে গড়নের লোকটার চলনে বলনে তেজীভাব। তিনি আর কেউ নন, আমার শিক্ষক নারায়েন চন্দ্র দাস। অষ্টম শ্রেণীতে ইংরেজী পড়াতেন। যতনা পড়াতেন, তার চেয়ে বকতেন বেশি। ক্লাসতো ফাঁকি দিতেনই না, পারলে অতিরিক্ত ক্লাস নিতেন।
তবে মাঝে মধ্যে গল্প বলতেন। ঐ বয়সে গ্রামীণ গল্প নিরস লাগতো। বলতেন ক্লাস ফাটিয়ে, চলতেন উল্কার মতো। খর্বাকায় মানুষটা এত শক্তি কোথায় পেতেন জানিনা। গতকাল আমার ছোট্ট শহর ফেনীতে গিয়েছিলাম।
স্যারের কথা মনে পড়ায়, উনার বলা একটি নিরস গল্প বলছি-
“স্যার বেড়ে উঠেছেন গ্রামে। গ্রামের খালের পাড়ে এক স্কুলে পড়তেন। খালের উপর বাঁশের সাকোঁ ফেরিয়ে স্কুলে যেতেন প্রতিদিন। একদিন রাতে খুব বৃষ্টি হলো। প্রতিদিনকার মতো নেয়ে খেয়ে স্কু্লে রওনা দিলেন তিনি।
খালের পাড়ে এসে দেখেন বাঁশের সাকোঁটি নেই। কিছু লোক চার আনায় (২৫ পয়সায়) স্কুল ছাত্রদের খাল পারাপার করছেন। সেদিন স্যারের কাছে চার আনা ছিলনা তাই স্কুলে যাওয় হয়নি”।
কিছু দিন আগে ইত্যাদিতে গল্পটির ২য় সংস্করণ দেখেছি। স্যার আপনার সে নৌকার মাঝির ২য় সংস্করণ-আমাদের দারবেশ বাবা ও ফালুদারা আমাদের ছাত্রদেরকে খালের পরিবর্তে রাস্তা পার করায় ও পথ দেখায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।