ইদানিং কেন জানি মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদকে পত্র-পত্রিকার প্রথম পাতা থেকে সড়ানো যাচ্ছনা। আর যাবেইবা কেন? তিনি আমাদের আওয়ামী ওলামাদের নেতা। স্যাকুলার আলেমের কি অপরুপ নমুনা। চেহারায় নুরানী চমক - যা আর সব আওয়ামী নেতাদেরকে হার মানায়।
আমাদের মহান প্রধান মন্ত্রীকে এই আচানক স্বাধের একজন কামেল পীরকে আমাদের দলে স্হান দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
দেশের উন্নতি যাই করিনা কেন - রিক্রুটম্যন্টের খাতে আমরা এবার সব চাইতে ভাল করেছি। তবে শুধু এই খাতেই না - সব ক্যাটাগারীতেই আমাদের আওয়ামী রিক্রুটম্যন্ট হয়েছে প্রচুর। পয়সা আর শক্তির কি জোড় তার প্রতিফলন হয়েছে বাস্তবে।
ফজিলাতে শেইখ, সাহেবে শাহবাগ, আমীরে বা'জে, সরদারে দ্বি'ভাব হযরত মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ মাঝে মধ্যে কিন্ত আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলেন। ইহা আমাদের জন্য খুবই খতিকর।
এমনিতেই আমাদের উপর দেশের জনগন এবং বিশ্বের অনেক মানুষ ক্ষেপে আছে। তবে ভারত এখনও আমাদের সহায় আছে। যদিও তারা আমাদেরকে সামান্য কিছু দিয়ে অনেক কিছু নিতেছে - এটাই স্বাভাবিক ব্ন্ধুত্বসুলভ ব্যবহার। হযরত মাওলানার কিছু কিছু কান্ড আমাদের আওয়ামীলীগের জন্য এটাম-বমস্বরুপ ক্ষতিকর।
গত শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে আমাদের সরকারের আয়োজনে পুলিশ বেষ্টিত সমাবেশে মাওলানা মাসউদ ঘোষণা দেন, ‘ইসলামী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করা হারাম, হারাম, হারাম।
এই ব্যাংকে যারা অ্যাকাউন্ট করবে তারা শয়তানকেই সহায়তা করবে। ’
ইসলামী ব্যাংকে টাকা লেনদেনকে হারাম ঘোষণা করলেও আমাদের মাওলানা সাহেবের ও উনার বিবিজানের নিজেস্ব অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই ব্যাংকটিতে। উনার সম্পাদনায় প্রকাশিত মাসিক পাথেয় পত্রিকায় নিয়মিতভাবে ইসলামী ব্যাংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছেন। পত্রিকাটির মালিক হিসেবেও তিনি ইসলামী ব্যাংকের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারে কাজ করেন।
এব্যাপারে উনাকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেনঃ 'আমি নিজ থেকেই ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখাকে হারাম ঘোষণা করিনি।
এ ঘোষণা দেয়ার এখতিয়ারও আমার নেই। আমি শুধু বলেছি, পাকিস্তানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আলেম একটি যৌথ সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছেন, বর্তমানে যেসব ইসলামী ব্যাংক রয়েছে, এগুলোর সঙ্গে প্রচলিত অন্যান্য ব্যাংকের মৌলিক কোনো তফাত্ নেই। ইসলামী ব্যাংক শুধু ইসলামী পরিভাষাগুলোই ব্যবহার করে থাকে। তারা ইসলামী বিধি-বিধান পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ করে না। শীর্ষস্থানীয় ওইসব আলেমের বক্তব্য উদ্ধৃত করে আমি কোনো দোষ করিনি'।
মাওলানা যদি কিছু কিছু পাকিস্তানী ওলামাদের মত হয়ে যান তবেতো আমাদের বারটা বাজবে। এতো কাল কেটে কুম্বির আনার চাইতেও জগন্য। পাকিস্তানের কিছু কিছু আলেম ওলামারা শোনেছি তালেবানের পক্ষে কাজ করেন। আমাদের মাওলানাও কি সেই কাতারে শামিল হবেন নাকি?
হযরত মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদ আমাদের শহীদ ব্লগারদের জন্য দোয়া করেছেন - চোখের পানি দিয়ে দাড়ি ভিজিয়েছেন। এখন বলতেছেন উনে শাহবাগ সমথন করেননা! কি তাজ্জব ব্যাপার।
এমন আঘাত সহ্য করার মতো নয়!
এর চাইতে আরো বড়, জঘন্য হলো সরকারের সমালেচনা করা। এটাকে নাকি বলে গীবত! উনি বলে বেড়াচ্ছেন যে সরকারের সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই। বরং আওয়ামীলীগ সরকার বরাবরই তার ক্ষতি করেছে। চাকরি ছেড়ে দেয়ার গত চার বছরেও এ সরকার তার সমুদয় পাওনা বুঝিয়ে দেয়নি। কাজেই কেউ যদি বলে যে তিনি সরকারের পক্ষে কাজ করতেছেন, তারা চরম ভুল করবে!
আমার প্রশ্ন হলো উনি যদি আমাদের সরকারের জন্য কাজ না করেন - তবে কার কাজ করেন? উনি যদি আমাদের শাহবাগের দোসর না হোন - তা হলে কার দোস্ত তিনি? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।