বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ সকাল বেলা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টের প্রতারনা..কলম বিক্রেতা নাসেরার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ লেখাটি পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। সামহয়ার ব্লগের কতিপয় ব্লগার এ কর্মকান্ডে জড়িত বলে লেখাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যা শুধু দুঃখজনক না লজ্জাও বটে। একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধার সাথে যে আচরন করা হয়েছে তাতে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়।
লেখায় দেখা যায়, গত ১৫ মার্চ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুফিদ বিন রাব্বি অসামাজিক ০০৭০০৭ নামের সামহয়ার ব্লগে ..মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী এখন ফেরিওয়ালী!!! শ্রেষ্ট সন্তানদের প্রাপ্যটা আমরা এভাবে দিলাম? শীর্ষক একটি পোস্ট দেন। পোস্টটি স্টিকি করা হয় এবং ৫৫৬১ বার পঠিত, ৫০১টি মন্তব্য আসে।
বিপুল সংখ্যক ব্লগার নাসেরা বেগমকে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। গঠন করা হয় একটি তহবিল। ২৬ মার্চ টিএসসি তে ব্লগাররা একত্র হয়ে নাসেরা বেগমের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক করেন। শুরু হয় অনুদান সংগ্রহ। উঠে আসে বিপুল অংকের টাকা।
তহবিল সংগ্রহে নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গির নগর বিম্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষার্থী হামিন আহমেদ তাপস ওরফে হুলো বিড়াল। তাপস নিজেকে নাসেরা বেগমের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন। তাপসের সাথে অরন্য, আরিফসহ আরো অনেকে আছেন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো নাসেরা বেগম টাকা তো পেলো না তার উপর তার মোবাইল নাম্বারটি পর্ণো ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ঐ তাপস নাকি কেয়ারে চাকরী করেন।
থাকেন ইংল্যান্ডে। প্রশ্ন হলো, এ লোক কেন বৃদ্ধ নাসেরা বেগমের টাকাগুলো নিয়ে ছিনিমিনি খেললো। সে লোক নাকি ৭৭ হাজার টাকা দিয়েছে। বলেছে, খরচ বাদে নাকি ৭৭ হাজার টাকা পেয়েছে, এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। নরকের এ কীটগুলোর কারনে সমাজটার আজ এ অবস্থা।
পর্ণো ওয়বসাইটে এ বৃদ্ধার মোবাইল নাম্বার দেয়ার পর কি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা একবার ভেবে দেখুন। সন্তান আর আত্মীয় স্বজনহীন এ বৃদ্ধার জীবন কাটছে এখন অসহায়ভাবে। আসুন যারা কুকর্মের সাথে জড়িত তাদের জুতাপেটা করি... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।