আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া ভোর ৬টার তথ্য অনুযায়ী, যমুনা নদী বাহাদুরাবাদে ১৮ সে.মি ও ধরলা নদী কুড়িগ্রামে ২ সে.মি বিপসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকলেও গঙ্গা-পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমেছে। কিন্তু ব্র‏হ্মপুত্রের পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টি এবং উজানের ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কুড়িগ্রাম জেলার সাবির্ক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।


চর এলাকার রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা দুর্গত মানুষ। বানভাসী মানুষের খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনা পক্ষ থেকেই ত্রাণ সহায়তার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
জেলা  ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার অববাহিকার সাতটি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের আড়াই শতাধিক চর, দ্বীপচর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ।

আর নদী ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪৭টি পরিবার।
বরাদ্দ না পাওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষদের সরকারিভাবে সাহায্য দেয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়া যায়নি বলে জানান আনোয়ার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মণ্ডল জানান, বন্যায়  কুড়িগ্রামে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন বীজতলা, শাক-সবজি, কাউন ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এদিকে দিনাজপুরের নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও এর মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচটি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
পূণর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও নদীসংলগ্ন সমগ্র নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

দিনাজপুর সদর, বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, চিরিরবন্দর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষ স্কুল, মাদ্রাসা ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেয়া ভোর ৬টার তথ্য অনুযায়ী, দিনাজপুর পয়েন্টে পূণর্ভবা নদীর পানি ৯ সে.মি বেড়ে বিপদসীমার ১৩ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জাকির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা, পরমেশ্বরপুর, নড়াইল, ষাটপুকুর, ফাঁচপাড়া, শুকদেবপুর ও কুকরাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৪৮০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া চিরিরবন্দর উপজেলার তেতুলিয়া, আব্দুলপুর, আউলিয়াপুকুর ও ভিয়াইল ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।


বিরলের রাজারামপুর, হঠাৎপাড়া, শহরগ্রাম, দহগ্রাম, খোপড়া, মানিকপাড়া, ঠনঠনিয়া, রসুলপুর গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়ি-ঘর পানিতে ডুবে গেছে।  
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমুহে গত দুদিনে ৯৮ টন চাল বিতরণ করা ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনা খাবার ও খিচুরি বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক শামীম আল রাজী জানান, পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.