নেতারা এখন কাউন্সিলরদের দুয়ারে
কুড়িগ্রামে বিএনপি’র জেলা কাউন্সিল যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কাউন্সিলরদের মাঝে লবিং বেড়ে যাচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বে কে আসছে এনিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। রাজনৈতিক মহলেও চলছে হিসেব নিকেশ। জেলা বিএনপি’র মধ্যে গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ দেখা না গেলেও নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন দলে ও উপদলে বিভক্ত হয়ে তাদের নেতাকে নেতৃত্বে নিয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে আগ্রহ সকলের।
ইতিমধ্যে জেলার নেতৃত্বে আসার জন্য নেতারা কাউন্সিলরদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা কাউন্সিলে অগ্রনী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, জেলা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ নভেম্বর। জেলা কাউন্সিলে পূর্বে শেষ করতে হবে জেলার ৯টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার কাউন্সিল। এ লক্ষে প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন স্তরের কাউন্সিল।
তবে শুধুমাত্র রৌমারী উপজেলায় দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিল, ভাংচুরের ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রতিকর ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।
প্রকাশ, গত ২৪ জুন তারিখে গঠিত হয় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি। সে সময় জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট ইদ্রিস আলীকে আহবায়ক কমিটির আহবায়ক না করে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুককে আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এতে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি দুইটি গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়। কমিটি বাতিলের চেষ্টা চলে বিস্তর।
কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর নিজ জেলা কুড়িগ্রাম হওয়ায় এবং তার হস্তেক্ষেপে নেতৃত্ব পর্যায়ে জেলা বিএনপির গ্রুপিং থেমে যায়। ফলে কর্মী পর্যায়ে গ্রুপিংও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। পরে আহ্বায়ক কমিটিকে ঘিরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জেলা কাউন্সিলের প্রতি জোর দেন। উপজেলা ও পৌর শাখার কমিটিগুলো অনেকটা দ্বন্দ্বসংঘাত ছাড়াই শেষ হচ্ছে। ১২টি উপজেলা ও পৌর কমিটির মধ্যে ৭টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে বাকী ৫টির সম্মেলন শেষ হবে বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপি’র নেতৃত্ব নিয়ে বড় গুঞ্জনের মধ্যে ছিল ৬ বারের এমপি সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে নিয়ে। তিনিসহ তার ছোটভাই সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কুড়িগ্রাম-২ সদর আসনে তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেন পার্টি চেয়ারপরসন খালেদা জিয়া। সেই নির্বাচনে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের কাছে পরাজিত হন।
পরবর্তীতে উপনির্বাচনেও তাজুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামীলীগের জাফর আলীর সঙ্গে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। মাত্র ১২ হাজার ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। ফলে তার শোচণীয় পরাজয়ের ফলে কেন্দ্রের সাথে দুরত্ব বেড়ে যায়। একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানায়, কেন্দ্রের নির্দেশে তাকে ও তার ভাইকে সদস্যপদ দেয়া হয়নি। ফলে আগামী ২৬ নভেম্বরের জেলা সম্মেলনে তাদের আসার কোনো সুযোগ নেই।
বিভিন্ন সূত্রে সভাপতি হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ইদ্রিস আলী, কাশেম গ্রুপের এমডি ও জাপা এমপি মাইদুল ইসলাম-এর ছোট ভাই তাসভিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক উমর ফারুক এবং পৌর মেয়র আবুবকর সিদ্দিক। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজার রহমান এবং কুড়িগ্রাম পৌর বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু।
একাধিক কাউন্সিলর সাথে কথা বললে তার জানান, ত্যাগী নেতা, জনপ্রিয়তাসহ যাদের কিন ইমেজ রয়েছে তাদেরকে নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিস্তারিত: http://www.kurigramnews.com
আরও জানুন: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।