আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রীয় খাত শেয়ারের বিনিয়োগের জন্যে উন্মুক্ত করা হউক

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র গতকাল ঢাকায় ওয়ালস্ট্রিট সংহতি এবং "আমরা শতকরা ৯৯" সমাবেশে যেই দশ দফা দাবিনামা উত্থাপিত হয় তার ৪ নম্বর দাবিখানা ছিল নিন্মরূপ- শেয়ারবাজারকে ফাটকাবাজির হাত থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রীয় শিল্প ও সেবা খাত যেমন তেল-গ্যাস, রেলওয়ে, পদ্মা সেতু ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ যোগানের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শেয়ারবাজার কারসাজির হোতাদের বিচার করতে হবে, লোপাট হওয়া এবং বিদেশে প্রাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করতে হবে। * গত প্রায় বছর খানেক ধরে শেয়ার বাজারের ধ্বস অব্যাহত আছে। নিজের অনেক পরিচিত মানুষ, বন্ধু বান্ধব যারা শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারী ইদানিং তাদের চেহারার দিকে তাকাতেও কষ্ট হয়। অথচ ফটকাবাজদের কারসাজিতে শেয়ারের দাম যখন হু হু করে বেরেই যাচ্ছিল তখন সরকার কাউরে সতর্ক করা দূরে থাকুক উলটা বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে।

এখন আবার এই দায় নেয়া দূরে থাকুক, অপরাধীদের স্বাস্তি দেয়া দূরে থাকুক, উলটা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের উপরি বিভিন্ন সময় খড়গহস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। প্রশাসন কে। বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তখনো অপরাধীরা ঠিকই পার পেয়ে গেছে। কম বেশি আমরা সবাই জানি যে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে মূল্যের উঠা নামা খুব একটা অর্থনীতির নিয়ম মেনে হয়না, পুরা বিষয়টাই কম বেশী মার্কেট মেনিপুলেশন।

আবার সারা দুনিয়ায় যেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তাতে হুট করে কোন রকম মেনিপুলেশন ছাড়া শেয়ার বাজারকে আবার একটা স্থিতিশীল অবস্থায় কিভাবে নিয়া যাওয়া সম্ভব সেইটা নাকি খোদ অর্থমন্ত্রীরই জানা নাই। * বাংলাদেশের জ্বালানী ক্ষাত, উন্নয়ন ক্ষাত, শিক্ষা ক্ষাত এইসব ক্ষাতে অর্থ ব্যায়ের প্রসঙ্গ আসলে বরাবরি আমাদের সরকারগুলা নিজেদের ফকির দাবি করে বসে। আর ভিক্ষার ঝুলি নিয়া দাতাদের কাছ থেইকা বড় অংকের ঋন নিয়া তার অর্ধেক পকেটে ভইরা অর্ধেক এইসব ক্ষাতে খরচ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষিয় সিন্ডিকেট, এইটা এখন ওপেন সিক্রেট। আর দিনের পর দিন সেই ঋনের বোঝা আমাদের আমাদের পিঠে চাপায়া এরা দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় বানায়। আর ঋন দিয়া সুদের ব্যাবসা করতে পশ্চিমা দাতা গোষ্ঠির কোনই আপত্তি নাই, সেই সাথে নানান রকম শর্ত জুইরা দিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে ঔপনিবেশিক আধিপত্ব কায়েম রাখতে তাগো সুবিধা হয়।

দাতা আর এই দেশীয় শাসক গোষ্ঠির এই পারস্পরিক লুটপাটের বোঝাপরায় আমাগো কোন লাভ হয়না। উলটা বিভিন্ন সময় নানান রাষ্ট্রিয় উন্নয়ন ক্ষাতে বিকল্প অর্থের উৎসের কথা বইলাও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা যায়না। আমাদের কথা হইতাছে যে, পদ্মা সেতুর মতো উন্নয়ন প্রজেক্ট, তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তলনের মতো প্রজেক্টগুলারে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিয়ে এই প্রজেক্টগুলার শেয়ার পুজিবাজারে উন্মুক্ত করে দেয়া হউক যাতে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা এতে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে জ্বাতীয় সম্পদ এবং উন্নয়োনে জনগণের মালিকানাও বারে, আবার ফকির সরকারের উন্নয়ন কর্মে বিকল্প অর্থায়নেরও সুযোগ তৈরি হয়। সর্বোপরি, জ্বালানি এবং যোগাযোগ এই দুই ক্ষাতে বিনিয়োগই যে অত্যন্ত লাভজনক, সেইটা সবাই জানে।

পুজিবাজাররে সুস্থ্যভাবে চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে এইটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হইতে পারে। একমত হইলে সবাই দাবির পক্ষে আওয়াজ তুলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.