এদেশে শত শত মুক্তিযোদ্ধারা অর্ধাহারে অনাহারে ভিক্ষা করে মানবেতরের চরম পর্য্যায়ে দিনাতিপাত করছে আর রাজাকারেরা সগৌরবে বুক ফুলিয়ে সমাজে এখনো যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। হায়রে প্রিয় স্বদেশ! তোমার এ চেহারাও দেখতে হচ্ছে। এমনি করে মানবেতর লাঞ্ছনাময় জীবন-যাপনরত মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ খবরও নেয় না। তাদের সন্তানাদি অর্থের অভাবে শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত। অথচ এসব মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর এদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্য্যাদা প্রদানের নামে চরম মস্করা প্রদর্শনের মাধ্যমে এ জাতি যে কতটুকু অকৃতজ্ঞ, তাই-ই বারবার প্রমাণ করছে।
তার একটি প্রমাণ নাটোরের গুরুদাসপুরের বৈদ্যনাথ হালদার। বাস চালিয়ে এ মুক্তিযোদ্ধা তার সংসার চালাতেন। অভাবের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে পারেন নি। একপর্য্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বা-পা কেটে ফেলতে হয়। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে বিগত ২৮ জুন, ২০১০ইং তিনি মারা যান।
গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত্তা এ এন এম মঈনুল ইসলাম মাছের মায়ের পুত্রশোকের ন্যায় শোক-প্রকাশ করে বলেছেন যে ঐ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাড়ি করার জন্য একখণ্ড খাসজমি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তা চলুক, এভাবে প্রক্রিয়া চলতে চলতে দেখা যাবে বৈদ্যনাথ-পত্নীও ইহধাম ত্যাগ করেছেন। ছেলেপুলেরা এ-বাড়ী ও-বাড়ী ভিক্ষে করে বেড়াচ্ছে। সাবাস বাংলাদেশ। সাবাস মুক্তিযোদ্ধা ও তার সন্তানেরা।
তোমাদের পরিণতি এমনতরোই আর তোমাদের ত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্ত এদেশে বাটপারেরা ক্রমশঃই তাদের নধর স্ফীত করে চলেছে। তোমাদের অভুক্ত রেখে এদেশে শয়তানেরা দামী দামী গাড়ী হাকাচ্ছে। বাদবাকী মুক্তিযোদ্ধারাও মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করো। এখন তোমরা যথাযথ মর্যাদা না পেলেও মরার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।