নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা । অসুখী শরীর
ধমনীতে জলদস্যুদের হাযার হাযার তরী বয়ে চলে রাতদিন
পৌষে তুলে রাখা যেটুকু গ্লুকোজ ছিলো সম্বল লুটপাট হয়ে যায়,
কপালের ভাজে বেড়ে ওঠে শ্যাওলার মতো গাঢ় দুঃখের রাশি,
খুক্খুক কাশি -
বুকে জমে থাকে । দমকে উঠে আসে জীবনের
পাকে পড়া যতো ক্লেদাক্ত শ্লেষা বেলাশেষে, গাঢ় সবুজাভ
নষ্ট ঘাসের মতো ডালপালা ছড়ায় চাদ্দিকে, যতো ভুলের
রক্তবীজ কুরেকুরে খায় বুকের ফসল, সাই সাই বাতাস
বয় চালুনের মতো ঝাঝরা খাঁচায় ।
হৃদপিন্ডে পড়ে হাপরের বাড়ি, ধুক্পুক ধুক্পুক সারাদিন
কাকে যেন খোঁজে লাঠি হাতে কুঁজো বুড়ীর মতোন
হাক পাড়ে –
“ওলো.. তোরা কে কোথায় গেলিরে” ।
চার দুয়ারী সেই ঘরে কারা যেন বাস করে, চিনিনে
তাদের, কি নাম - কি বংশ জানিনে তাও । কেবল
ষড়যন্ত্রের জাল বোনে, ধমণীর নদীতে তোলে বাঁধ ।
ক্লান্ত হই তৃষ্ণায় শুকায় গলা, বড় বেশী টক টক মনে হয়
জিভের নীচে । খুব বেশী জ্বালাপোড়া করে । আলসার
হয়েছে যতোদুর মনে হয় স্মৃতির চাদরে, ফুটোফাটা
দিয়ে তোড়ে ভেসে আসে কেউ, তখনি একটা বীট্
মিস করে ফেলি ।
মাথা ঘোরে, চোখে শর্ষের ফুল দেখি
মুখখানি আবছায়া মনে হয় । চেনা অচেনা ছবিগুলো
আসা যাওয়া করে মগজের দুয়ার খুলে ।
ছানি পড়া চোখে দেখিনা কিছুই, ফিসফাস কথা
মৃদু মৃদু পায়ের শব্দে শুধু বুঝি কারা যেন আসে -
আবার চলে যায়, বায়োস্কোপের মতো দৃশ্যপট
পাল্টায় বারেবারে । শরীরের বাতিঘর পোড়ে ।
দু’কদম হাটতে পারিনে, হাটুতে যে ব্যথা
কথা কয় ।
বহুদুরে যেতে হবে জানি কারো দুয়ারে,
দুদন্ড জিরোবার ছলে তবু হাটি । পারিনে দাঁড়াতে
মাঝপথে বসে পড়ি কোথাও, অচেনা কারো কাছে ।
হাত ধরে এগিয়ে দ্যায় সে খানিকটা, আর কিছু নয়
পথ পড়ে থাকে পথে, কায়াহীন নিজের মুখোমুখি
দু’হাতে হাটু চেপে সোজা হই ।
এমোনই অসুখী শরীরে ভাঙা স্বপ্ন নিয়ে খেলা করে যায়
নেশাগ্রস্থ বিষাদের দল, পড়ে থাকে গ্লাস ভর্তি জল -
ঘুমের বড়ি বিছানার পাশে, রোগাক্রান্ত বিনিদ্র রাত কাটে
অপেক্ষায় কারো । যদি সে এসে ফিরে যায়, শুধু বারবার
এই ভয়ে খুলে রাখি চোখের অর্গল, জানালা-দুয়ার ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।