খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে আমার প্রথম দিন। খুব মৌজে আসি। ক্যাম্পাসে সুন্দরী নারী অবলোকন করতেছি। অবলোকন শেষে ক্লাস এ প্রবেশ করেই মৌজের পরিমান কমে গেলো।
এমনিতেই ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে মেয়ের সংখ্যা INVERSLY PROPOTIONAL to ছেলের সংখ্যা। আমাদের ক্লাসে সেটা কোনো সমীকরন দিয়ে প্রকাশ করা সম্ভব না। যাই হোক ক্লাসে বসে স্যার এর অপেক্ষায় বসে আছি আর গান গাচ্ছি " স্যারের দেখা নাই রে স্যারের দেখা নাই"। স্যারের দেখা না পেলে ও একটু পরেই সিনি্য়র ভাইয়া এবং আপুদের সাক্ষাত পেলাম। অতঃপর শুরু হলো পরিচয়পর্ব।
পরিচয়পর্ব ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেষ্টিং। পরিচয়পর্ব এর নিয়মাবলী হলো:
১ শার্টের সব বোতাম লাগানো থাকতে হবে।
২ শার্টের হাতা গোটানো থাকা যাবে না।
৩ সোজা হয়ে দাড়াতে হবে।
৪ নিজের নাম, রোল,স্কুল এবং কলেজ এর পুর্ন নাম বোলতে হবে।
পরিচয়পর্ব কোনোভাবে পার করলাম। এরপর শুরু হলো পঁচানোপর্ব। এই পর্বে সবার সামনে একজন করে থাকবে এবং দুজন দুজনকে পঁচাবে। আমি পিছনে বসে খুব মৌজ নিয়ে পঁচানো দেখতছি। মৌজ বেশিক্ষন স্হায়ী হলো না।
আমার ডাক পরলো।
আমার প্রতিদ্বন্দী হলো খালা। খালার আসল নাম সানজিদা। সানজিদা এর চেহারায় মুরুব্বি ভাব প্রবল। এই মুরুব্বি ভাবের জন্ন্য তার নাম খালা।
খালা মুরুব্বি ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকিয়ে আসি খালার গোফ এর দিকে। মানুষের গোফ এ সম্মোহনী শক্তি আছে এটা আমার জানা ছিলো না। । খালা এর সামনে বসে আমি কিন্বিৎ চিন্তিত এবং বিরক্ত।
চিন্তার কারন খালার গোফ এর পরিমান আমার চেয়ে বেশি হতে পারে। বিরক্তির কারন খালা আমাকে নাম ধরে ডাকতেছে। খালার স্বভাব হলো সবার নাম এর সাথে বিলটিন 'আই' যুক্ত করা। খালা আমাকে ডাকতেছে "আই রিফাত" বলে।
আমি খালাকে বললাম "বিয়ের পর তোমার ছেলে হলে তার নাম রাইখো পড"।
খালা বললো ক্যান??
আমি বললাম তুমি তারে "আইপড " বইলা ডাকবা, শুনতে ভালো লাগবে। ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল নাম।
খালা তীব্র বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তাকিয়ে থাকি খালার গোফ এর দিকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।