আমিও সুরের মত মিলিয়ে যাবো। ততদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে paintlove@gmail.com এ...
কলেজে থাকতেই কার্জন হলের সামনে দিয়ে যেতে হতো। মনে বড় সখ....এখানে পড়ালেখা করবো। অবাক করা বিষয় কার্জন হলেরই এক ডিপার্টমেন্টে পড়ার সুযোগ হয়ে গেল। মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগে।
মনে বড় খায়েশ...হলে থাকবো। এবার আর খায়েশ পূরণ হলো না। ঢাকায় পুরো পরিবার থাকার সুবাদে হলে থাকার অনুমতি মিললো না। সমস্যা শুরু হলো যাতায়াত নিয়ে। সন্ধান পেলাম, কিঞ্চিৎত নামের এক বাস যায় আমাদের এলাকায়।
যথারীতি কিঞ্চিতে করে যাতায়াত শুরু হলো। মুখোমুখি হলাম এক বাস্তব অভিজ্ঞতার। একটা বাসে এতজন ছাত্র-ছাত্রী, বাঁদরঝোলা হয়ে যাওয়া আসা। দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় যেন খাঁচায় করে এক ঝাঁক মুরগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাস্তায় স্কুলের কলেজের গাড়ি গুলো চলে।
বাচ্চা-কাচ্চা পোলাপান আমাদের দেখে হাসাহাসি করে।
বন্ধুদের জন্মদিনে তাকে খসানোর একটা মজা ছিল। কখনো নীলক্ষেত, কখনো চানখারপুল বা নীরব হোটেল, আবার কখনো শাহবাগ।
থিয়েটারের সাথে জড়িত হই ২০০৩ সালে। সকাল থেকে ক্লাস, ল্যাব...সব ঝামেলা শেষে কখনো হলে, কখনো টি এস সিতে আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় রিহার্সেলে যোগ দিতাম।
শহীদ মিনারে, ডাস এ পথনাটকের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সেই দিনগুলো ছিলো অন্যরকম। আমাদের রিহার্সেল হতো সাইন্স ক্যাফেটেরিয়া তে, আবার কখনো এনএক্স ভবনের ক্যাফেতে। পদাতিক নাট্য সংসদের হয়ে অনেক নাটকই করা হয়েছিল। এছাড়াও কোরাসে গণসঙ্গীত করতাম শহীদ মিনারে, হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা উতসবে।
মনে পড়ে, টিএসসির সেই আড্ডা গুলো, থিয়েটারের পুরানো বন্ধুদের, বিজয় দিবসের বিজয় মিছিল।
অনার্স শেষ হয়ে গেছে। অনেকের সাথে আর দেখা ও হবে না। কিন্ত ক্যাম্পাসে এখন প্রায়ই থাকবো। ব্যস্ততা এসে ভীড় করার আগে আরও কিছুদিন সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা।
হাতে অফুরন্ত সময়, টিএসসিতে আড্ডা দিয়েই কাটে প্রতিটি সন্ধ্যা। ক্যাম্পাসের প্রতিটি বিকেল, সন্ধ্যা উপভোগ করছি। সন্ধ্যার আগে এক প্রতিবাদী রূপ; বি সি এস প্রার্থীদের আন্দোলন, নাট্যকর্মীদের মৌলবাদী বিরোধী আন্দোলন, ভাস্কর্য ভাঙার জন্য তীব্র প্রতিবাদ........আর সন্ধ্যার পর...সাংস্কৃতিক কর্মীদের মিলনমেলা, আড্ডা, এক উতসব মুখর পরিবেশ......প্রতিটি রাত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।