গভীর কিছু শেখার আছে ....
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির পরে খুব কাছের বন্ধু হিসেবে দিপনের সাথেই অন্তরঙ্গতা বেশি গড়ে ওঠে আমার। প্রায় সব ব্যাপারই ওর সাথে শেয়ার করতাম, খুনোসুটিতে মেতে উঠতাম।
ফাস্ট ইয়ারে ক্যাম্পাসের বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে যেতাম। দিপন উঠতো আসাদগেট থেকে আর আমি উঠতাম শ্যামলী থেকে। মজার ব্যাপার হলো এ সময় যে মেয়েকেই দেখতাম তাকেই কেন জানি ভালো লেগে যেতো!
আর এ নিয়ে দিপন আর আমার মধ্যে প্রতিদিনই কে কোন মেয়েটিকে আগে আবিষ্কার করেছে, তা নিয়ে বেশ তর্কযুদ্ধ হতো!
হয়তো দেখা গেলো, বাসের একবারে শেষ মাথায় এক অপ্সরী বসে আছে আর আমি যদি তাকে আগে আবিষ্কার করি তো অমনি দিপন বলে উঠবে যে, 'এই মেয়েকে তো আমিই আগে দেখেছিলাম! কিন্তু তুই দেখে ফেলবি বলে আগে কিছু বলি নি!!'
তবে মজার ব্যাপার হলো যে বা যাকে নিয়েই এতো কান্ড হতো দিপন আর আমার মাঝে, সে কিন্তু কখনোই জানতে পারতো না এত কিছু।
আর আরো মজার ব্যাপার হলো সেই অপ্সরীকে কখনোই আমরা আর ক্যাম্পাসে খুঁজে পেতাম না। অল্প স্টুডেন্টের ক্যাম্পাসে কেন তাকে খুঁজে পেতাম না এটাও এক বিরাট রহস্য ছিলো আমাদের কাছে!
শেষ পর্যন্ত দিপন আর আমি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছলাম যে, এরা ক্যাম্পাসের অতিথি হয়ে কেবল একদিনের জন্যই আসে! তাই আমরা আর এদের কে পরে আর খুঁজে পাই না!
এখনও রাস্তায় কিছু অপ্সরী দেখলেই পুরনো স্মৃতিগুলো জেগে উঠে। তবে পরক্ষণেই মনকে প্রবোধ দেই, 'এরা অতিথি, একদিনের জন্যই এদের দেখা যায়!!!'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।