শনিবার চাঁদপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজের বাংলাদেশি নাবিকরা জীবিত রয়েছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এর আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার এবং লিবিয়ায় যুদ্ধের সময় আটকে পড়া ৩৭ হাজার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার নজির তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, “আটক সাত বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ”
এ নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম ‘মিথ্যাচার’ করছে বলেও অভিযোগ করেন মন্ত্রী।
জলদুস্যদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মালয়শিয়ার পতাকাবাহী এমভি আলবেডো জাহাজটি গত ৭ জুলাই সোমালিয়া উপকূলে ডুবে যায়।
ভারত মহাসাগরে ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর জলদস্যুরা জাহাজটি দখলে নেয়ার পর থেকে এতে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন সাত বাংলাদেশি নাবিক।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেনিয়ায় রওনা হওয়া ওই জাহাজে বাংলাদেশিদের সঙ্গী হন ৭ পাকিস্তানি, ৬ শ্রীলঙ্কান, এক ভারতীয় ও এক ইরানি নাবিক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুবে যাওয়া ওই জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিকরা জীবিত রয়েছেন। ছিনতাই করা অন্য একটি জাহাজে তাদের তুলে নিয়েছে জলদস্যুরা।
লন্ডনভিত্তিক মেরিটাইম পাইরেসি অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ার রেসপন্স প্রোগ্রামের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে জিম্মি অবস্থায় থাকা এই নাবিকদের মুক্তিতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আসছে তাদের স্বজনরা।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে সাধারণত মুক্তিপণ দিয়েই নাবিকদের উদ্ধার করতে হয়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, নীতিগতভাবে কোনো দেশের সরকারই জলদস্যুদের মুক্তিপণ দিতে পারে না।
তবে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, মালয়শিয়া কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি নাইরোবিতে জাতিসংঘ দপ্তরের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে কেনিয়া দূতাবাসকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।