বলতে পারিস বিশ্বপিতা ভগবানের কোন সে জাত! কোন ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অসুচি হন জগন্নাথ! ২০১০ সালে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ক্রয়কারী উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকার শীর্ষস্থানে ছিল ভারত। গত বছর মোট ৫শ’ ৮০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনেছিল তারা। মার্কিন কংগ্রেসের এক রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। এদিকে ভারতের পরের অবস্থানে রয়েছে তাইওয়ান। দ্বিতীয়স্থানে থাকা এই দেশটি ২০১০ সালে ২শ’ ৭০ কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনেছিল।
যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব ও পাকিস্তান। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, যুদ্ধাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে বরাবরই রাশিয়া ভারতের প্রথম পছন্দ। এবারও ভারতীয় অস্ত্রের বাজারে রাশিয়ার সেই আধিপত্য অক্ষুণ্ন রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও নয়া দিল্লি তার অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে শুরু করেছে। ইসরাইল, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও এবার অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম আমদানি করেছে ভারত।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রির তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াও বেশ কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে, ৭শ’ ৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। ২০১০ সালে সারাবিশ্বে মোট ৪ হাজার ৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনাবেচা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরগুলোর তুলনায় এ হার অনেক কম। ২০০৯ সালে যে পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র কেনাবেচা হয়েছিল, সে তুলনায় ২০১০ সালে ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ কম অস্ত্র কেনাবেচা হয়েছে।
আর ২০০৩ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র কেনাবেচার এ হার সবচেয়ে কম। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় যে ধরনের অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়, তাতে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তার কারণ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। রিপোর্টে বলা হয়, সামপ্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির মন্দাভাব সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত হয়েছে। এই দু’টি অঞ্চলের গুটি কয়েক উন্নয়নশীল দেশ এসব অস্ত্র কিনেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সামপ্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে। আর, কিছু উন্নয়নশীল দেশের এ সিদ্ধান্তের পেছনে তাদের নিজস্ব শক্তিশালী অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এতে আরও বলা হয়, এসব অঞ্চলে অত্যাধুনিক অস্ত্র কেনার প্রতিযোগিতায় বাধা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আর সে কারণে সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা সমপ্রসারিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকায় নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি রাশিয়াকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে দাঁড় করাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।