রোববার এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সহযোগিতার অভাবে উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়াই ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। ”
আগামী দিনের উন্নয়ন এজেন্ডায় প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য’ শীর্ষক এই জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের দুর্ভোগ রোধে কার্যকর লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। ”
পরিবেশ রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুত সহায়তা আমরা সেভাবে পাইনি। আমরা নিজস্ব অর্থে ২০২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।
”
২০১৫ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের মেয়াদ শেষ হলে এর দ্বিতীয় পরযায় শুরু হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলো আলোচনা করে যাচ্ছে। বিশ্ব আলোচনায় প্রথম সারির একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশও অবদান রাখছে।
গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, “গ্রামে অর্থ সঞ্চালন করতে হবে। গ্রামের মানুষকে স্ববলম্বী করতে হবে। ”
আর্থ সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি, অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি তুসারা ফার্নান্দো বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূইয়া শফিউল ইসলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।