আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারী যদি আকর্ষনীয় রূপে সেজে চলাফেরা করে তবে পুরুষের সমস্যা কোথায়??? নারীবাদীদের সাথে ইসলামের সংঘর্ষ লেগেই আছে। শান্তি পাব কোথায়? কার নিয়ম নীতিতে শান্তি আছে???

সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। বাংলাদেশে নারীবাদীদের ( রোকেয়া প্রাচী, সারা যাকের, মুন্নি সাহা, সুলতানা কামাল, তানিয়া আমির) যদি প্রশ্ন করা হয়ঃ - আপনাদের সামনে যদি এক বাটি তেঁতুল কেউ খুব স্বাদ করে খায় তাহলে কি আপনাদের জ্বি-বে জল আসবে? এটা নিশ্চিত যে, নির্দ্বিধায় তারা উত্তর দিবে, ''জ্বিবে পানি কার না আসবে!'' অবশ্যই জ্বিবে পানি আসবে! জ্বীবে পানি আসাটাই তো স্বাভাবিক! এর কারন কি? এটা কি তেঁতুলের দোষ নাকি প্রাকৃতিক বিষয়? কারন এটি প্রাকৃতিক বিষয়! যারা জীবনে তেঁতুল খেয়েছে, তেঁতুলের গুনাগুণ বা গল্প শুনেছে তাদের সামনে তেঁতুল বা কাঁচা আম বা এই ধরনের টক জাতীয় ফল খেলে অবশ্যই পানি আসবে! প্রাকৃতিক ভাবে ব্যতিক্রমী ব্যাতিত। তেতুল দেখলে জ্বীবে পানি আসা যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে একজন নারী যদি আকর্ষনের নিমিত্তে আকর্ষনীয় রূপে সাজে আর নিজেকে প্রকাশ করে এবং পুরুষের জ্বীবে পানি আসে তাহলে সেটা কেন পুরুষের দোষ? জ্বী! নারীবাদীগুলো বলতে চাচ্ছে তারা পুরুষদের নিকট নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে, আঁকা-বাঁকা ভঙ্গিতে, অর্ধনগ্ন অবস্থায় পুরুষের সামনে দিয়ে চলা ফেরা করবে, কিন্তু পুরুষরা আকর্ষন বোধ করতে পারবে না ! কিন্তু সত্যি কথা বলতে ঐ সমস্ত নারীরা বিভিন্ন কসমেটিক দিয়ে ঘষে-মেজে নিজেদেরকে পুরুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায়। তারা চায় পুরুষরা তাদের প্রতি আকর্ষিত হোক। তাদের রূপের প্রশংসা করুক।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই আকর্ষণ অতি মাত্রায় হয়ে গেলেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারা হয়ত ধর্ষণ হতে চায় না। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু এটাই বাস্তব, এটাই প্রাকৃতিক, এটাই বৈজ্ঞানিক। আর এই বিষয়টা সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন যে বিজ্ঞানী তিনি হলেন আল্লাহ্‌ সুবানাহুতায়ালা।

আর এজন্যই তিনি এ অবক্ষয় ঠেকাতে কিছু সু-নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন বলে দিয়েছেন। কত মহান তিনি যে তিনি আমাদের আমদের কিছু বিধি-বিধান দিয়ে দিলেন যাতে আমরা এই অবক্ষয়কে ঠেকাতে পারি। এই বিষয়টা আমাদের ভালভাবে বুঝে নিতে হবে যে- ওরা কিন্তু সাজগোঁজ এবং নিজেদের শরীর প্রদর্শন করে পুরুষদের দেখানোর উদ্দেশ্যেই আর অন্য নারীর সামনে নিজের অহংকার বাড়ানর জন্য যে সবচেয়ে বেশি পুরুষ কার দিকে তাকায় বেশি !! যদিও একজন নারীর উচিৎ তাঁর স্বামীর জন্য সাজগোঁজ করা। স্বামীর সামনে আপনি আপনার বিয়ে করে স্ত্রীকে যে কোন সেক্সি পোশাকে দেখতে ভালবাসেন তাকে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনি চাইলে তাকে ইন্ডিয়ান মডেলদের পোশাকও কিতে দিতে পারেন।

তবে আপনার স্ত্রী যেন ঐ পোশাক পরে অন্য কাউকে নিজের সৌন্দর্য না দেখায়। কেননা তার সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্যই। সে যে পোশাকই পরিধান করুক না কেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আপনার স্ত্রী যদি শুধু বিকিনিও পরে তাতেও আমাদের কোন আপত্তি নেই। সে আপনার মন জয় করার জন্য আপনাকে বিনদোন দেয়ার জন্য যে কোন পোশাক পরতে পারে তাতে কারো কোন আপত্তি থাকবে না।

আপনার স্ত্রীর রূপ-সৌন্দর্য একমাত্র আপনার জন্য। সে তার রূপ-সৌন্দর্য অন্য কারো সামনে প্রদর্শন করার অর্থ কি? এছাড়া বর্তমানে রাস্তা-ঘাটে, বিভিন্ন পার্কে, গার্ডেনে, বীচে, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে দেখা যায় অসংখ্য জোড়ায়-জোড়ায় তরুন-তরুনী প্রকাশ্যে অনৈতিক কার্যকলাপ লিপ্ত রয়েছে। এরা সবাই স্বামী-স্ত্রীর মত খুব কাছাকাছি অবস্থান করে। এই সমস্ত পার্ক/লেক গুলো কি এজন্যই দেয়া হয়েছে? এই উশৃঙ্খল, অসভ্য, পশু স্বভাব তরুন-তরুনীদের সম্পর্কে ঐ সমস্ত নারীবাদীরা বলে এটা মিউচুয়াল রিলেশান। কিন্তু এর পরিণাম কি তা কি একটু ভেবে দেখেছে ঐ সমস্ত নারীবাদীরা।

এমনটা চলতে থাকে আমাদের দেশ পশ্চিমাদের মত নোংরামিতে ভরে যাবে। একটা সতী নারীও থাকবে না। এদের কু-কর্ম ও নোংরামির ফলেই জন্ম নেয় পথশিশু, টোকাই। কেননা এরা এদের কু-কর্ম লুকাতে এদের পেটে জন্ম নেয়া সন্তানকে রাস্তায় ফেলে দেয়। এবং ঐ সমস্ত নিষ্পাপ শিশু গুলোই পরবর্তীতে পথশিশু/টোকাই হিসেবে অবহেলাই লালিত হতে থাকে।

এখন আপনারাই বলুন এই নিষ্পাপ শিশুটি কি অপরাধ করেছিল যে তাকে এত কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষুধার যন্ত্রণায় সে হবে চোর, সে হবে সন্ত্রাসী। সমাজের প্রতি তার থাকবে তীব্র ক্ষোভ। এর জন্য কে দায়ী? এটা তো কেবল নারী-পুরুষ অবাধ মেলা-মেশা জনিত একটা সমস্যা উল্লেখ করলাম। এছাড়া আরো অনেক সমস্যা রয়েছে।

কিন্তু এই পোষ্টটি এই বিষয়ের উপর নয়। পরবর্তীতে এই বিষয়ের উপর লিখব ইনশাল্লাহ। আমাদের ভালো করে মনে রাখতে হবে। ইসলামে গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড বলতে কিছু নেই। বিবাহপূর্ব প্রেম সম্পূর্ণ হারাম।

যদি বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালবাসায় কোন কল্যাণ থাকত তবে মহান আল্লাহ্‌ এটা আমাদের জন্য হারাম করতেন না। যদি এটাতে কোন কল্যাণ, অকল্যাণ কিছুই না থাকত তখনও মহান আল্লাহ্‌ এটা আমাদের জন্য হারাম করতেন না। কিন্তু বস্তুত এতে রয়েছে চরম অকল্যাণ, শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই নয় সামাজিক পর্যায়েও রয়েছে চরম অকল্যাণ তাই আমাদের দয়ালু পালনকর্তা এটাকে সম্পূর্ণ হারাম করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ্‌ বলেছেনঃ “তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।

বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সুরা বাকারাঃ ২১৬) আর এই ক্ষতি থেকে বাঁচতেই আল্লাহ্‌ কিছু বিধান দিয়ে দিয়েছেন। “তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না। আর তোমরা অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সুরা আ’রাফঃ ৩-৪) মহান আল্লাহ্‌ আদেশ দিয়েছেনঃ “যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কু-বাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে। মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। (সুরা আল আহযাবঃ ৩২-৩৩) ““ঈমানদার পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে”।

(সুরা আন নুরঃ ৩০) “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা আন নুরঃ ৩১) আর যদি আপনার স্ত্রীর/কন্যার/বোনের একান্ত কোন প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই তবে ইসলাম এর অনুমোদন করে। কারন মানুষের প্রয়োজন থাকতেই পারে।

কিন্তু নারী-পুরুষ মেলা মেশা ইসলাম কখনোই অনুমোদন করে না, যতই প্রয়োজন হোক না কেন। এর সমাধান আল্লাহ্‌সুবহানাহূতায়ালা বলে দিয়েছেনঃ "হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।

(সুরা আল আহজাবঃ ৫৯) সামগ্রিকভাবে নারীরা কখনোই পুরুষের সমকক্ষ হবে না, আবার পুরুষেরাও কখনোই নারীর সমকক্ষ হবে না এটাই প্রাকৃতিক। সৃষ্টিগত ভাবেই এটা এরকম! আল্লাহ্‌ এভাবেই আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। এই প্রাকৃতিক নীতিকে তারা উল্টে দিতে চায়। মুমিন নারীরা যদি এই নিয়ম সমূহ মেনে চলে এবং মুমিন পুরুষেরাও যদি তাদের দৃষ্টিকে অবনিমীত রাখে তবে কি দেশ তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে? মুমিন নারীরা যদি এই নিয়ম সমূহ মেনে চলার পরেও যদি কোন লম্পট কোন নারীকে ধর্ষণ করে তবে ইসলামী শারিয়াহ অনুযায়ী ঐ লম্পটকে পাথর মেরে হত্যা কর্তা হবে। এই আইন যদি দেশে বাস্তবায়িত করা হয়ে তবে কি দেশে ধর্ষণের হার কমবে নাকি দেশ তালেবানি রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে? যে সমস্ত আরবদেশ গুলোতে এই ইসলামী শারিয়াহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে সে সমস্ত দেশের হিসেব করে দেখুন তো তাদের ধর্ষণের হার কেমন? কিছু মানুষ মানবাধিকারের কথা বলে।

তারা বলে এই হত্যা নাকি খুব নির্মম। তারা আরো বলে সামান্য ধর্ষণের কারনে মৃত্যুদন্ড! আমি বলব তারা আসলে ভণ্ড। যদি ইসলামী আইনে শাস্তি দিয়ে হত্যা করা বর্বর হয় তাহলে ভারতের নারীরা আজ রাস্তায় নেমেছে কেন ধর্ষকের ফাঁসীর দাবিতে? ইসলাম পন্থিরা যখন উচিত কথা বলে তখনই তাদের শরীরে জ্বালাতন শুরু হয়। আসলে ইসলামেই রয়েছে শান্তি। এই বিধি-বিধান অন অনুসরণেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

আমাদেরকে বুঝতে হবে ইসলাম অর্থই হল শান্তি। এটা বর্বর নয়, এটা তালেবানি নয় এটাই শান্তির জীবন বিধান। তবে এর পিছনে কিছু লোক লেগে থাকবেই। কেয়ামত পর্যন্ত এরকমই হবে। ইসলামেই আল্লাহ্‌ শান্তি নিহিত রেখেছেন।

শান্তি আল্লাহ্‌ রেখেছেন কষ্ট করে ভোরে উঠে ফজরের সালাতে, শান্তি আল্লাহ্‌ রেখেছেন সারাদিন না খেয়ে না পান করে সিয়াম পালনে, শান্তি রেখেছেন নিজ সম্পদ থেকে যাকাত বের করার মধ্যে, শান্তি রেখেছেন নিজ পকেটের টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে গরিবের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করাতে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.