আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়া জীবন: ১৫

এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভারতবর্ষ থেকে যে হারে আখচাষী নিয়েছে ব্রিটিশরা, সে তুলনায় মরুভূমিতে চাষে চাষে সবুজ লিবিয়া গড়তে ভারতীয়রা কমই গেছে। এর অন্য একটি কারণও অবশ্য আছে, সাহারা মরুভূমিতে আরও সস্তায় শ্রম পাওয়া যায়। এবার যুদ্ধেও সেই কালো আফ্রিকানদেরই ভাড়া করেছিলেন গাদ্দাফি। বড় ভাই দেশটার জন্য সবই করেছেন, তবে জাতিকে রাজনীতি সচেতন করতে পারেননি। ইরাক-আফগানিস্তানের মতো জ্বলন্ত উদাহরণের পরও পশ্চিমাদের ফাঁদেই পা দিল লিবীয়রা।

নৃতাত্ত্বিকভাবে খণ্ড খণ্ড সত্ত্বা নিয়ে বেড়ে ওঠা একটা বেদুইন জাতিরাষ্ট্র লিবিয়া। এর ওপরই সেকুল্যার আরব ন্যাশনালিজম চাপিয়ে দিলেন গাদ্দাফি। সঙ্গে আধখানা কমিউনিজম। সব মিলিয়ে গ্রিনবুক। আক্ষরিক অথবা আন্তরিক, দুদিক দিয়েই ত্রিপোলি ও বেনগাজির হাজার মাইলের দূরত্ব।

৪ দশকের লৌহ শাসনে গ্রিনবুক নিঃসন্দেহে কাজে দিয়েছে। গাদ্দাফি পরবর্তী লিবিয়া কি তবে ভাঙতে বসেছ? যুদ্ধ চলাকালে তেরঙ্গা পতাকা দেখে আমারও এমন সন্দেহ হয়েছিল। গাদ্দাফিকে হঠাতে না পারলে অবশ্য হয়তো সেপথেই হাটতো ন্যাটো। যাক, গাদ্দাফির বিদায় লিবিয়ার মানচিত্র আরো কিছুদিনের জন্য অখণ্ড রাখছে তাহলে। ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল কি তবে নেমকহারামের দল? মোটেই না।

গাদ্দাফির পুলিশি শাসন তাদের স্বাধীনতার স্পৃহা উসকে দিয়েছে। মুসরাতার মুহাম্মাদের মতো যারা রাষ্ট্রযন্ত্রে স্বজন হারিয়েছেন, তারাই তেরঙ্গা পতাকা মাথায় বেধে অস্ত্র তুলেছেন। তবে যাই হোক, উপনিবেশের মধ্যেই যেভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে আফ্রিকার রাজনীতি। লিবিয়া আপাতত স্বাধীন হচ্ছে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।