এ লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আমার যুদ্ধাপরাধ বছরে হাতে গোনা কয়েকদিন বৃষ্টি হতো মুসরাতায়। দিনের বেলা বৃষ্টি নামলেই ক্লাসরূম থেকে বেরিয়ে যেতো ছেলেমেয়েরা, বেরিয়ে আসতেন শিক্ষকরাও। সবাই মিলে ভিজতেন। অফিসের কাজকর্ম রেখে ভিজতেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। সে কি উল্লাস।
তখন কখনোই মনে হতো না, এই বৃষ্টিকেই আমি একদিন বিরক্তিকর বলবো। ঢাকায় বৃষ্টি নামলেই সেই বিরক্তি আর দুর্ভোগ।
বৃষ্টি না নামলেও, শহরজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য কৃত্রিম ঝর্না। বাবা বলতেন, তেলের বিনিময়ে ওরা পানি কিনছে। ওরা কল্পনাও করতে পারবে না-- আমাদের দেশে কত পানি।
লিবীয়রা যখন বাবাকে বলতেন তোমরা গরীব দেশ থেকে এসেছো. মিসকিন! তখন বাবা জবাব বেশ কৌশলে জবাব দিতেন। বলতেন, তোমাদের দেশের সবাইকে বাংলাদেশে এক মাসের জন্য দাওয়াত দিলাম। ৩০ লাখ মানুষকে মেহমান করে রাখতে ঢাকা আর চট্টগ্রামের পরিবারগুলোই যথেষ্ট, সারা দেশ লাগবে না। এবার আমরা আসি তোমাদের দেশে। ১২ কোটি মানুষকে রাখতে হলে মাথাপিছু তোমাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে পড়বে ৪০ জন করে।
প্রতি পরিবারে এক মাস খাবে গড়ে দেড় শ জন। যতোই তেল উঠাও, ১২ কোটি মানুষের এক বেলা গোসল করানোর মতো পানির যোগানও তোমরা দিতে পারবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।