সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ রোববার বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। দুই দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিলটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিরোধী দলের সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া এই বিলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, “বাংলা একাডেমী দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে বই প্রকাশ করা হয়। ”
এর জবাব দিতে দাঁড়িয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আজাদ বলেন, “যারা বিরোধিতা করছেন তারা পড়ালেখা না করে বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করছেন।
ঢালাওভাবে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। যারা ইতিহাসের কথা বলছেন তাদেরতো ওই সময় জন্মই হয়নি। ”
এই বিল পাস হলে ১৯৭৮ সালের বাংলা একাডেমী অধ্যদেশ রহিত হয়ে যাবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমী বাংলা শব্দের প্রমিত বানান ও উচ্চারণ নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া বাংলদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরগুলোর ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংরক্ষণে সহায়তা করবে এবং তাদের জীবন ও সংষ্কৃতি বিষয়ে বই প্রকাশ করবে।
বিদেশি লেখক ও গবেষকদের আমন্ত্রণ জানানো, বাংলা একাডেমীতে চেয়ার প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনে বিভিন্ন কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট স্থাপনের ক্ষমতাও একাডেমীকে দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
এই বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বিলে বলা হয়, ১৯৭৮ সালের ৬ জুন তখনকার প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বাংলা একাডেমী অর্ডিন্যান্স জারি করেন। কিন্তু বাংলা একাডেমীর কাছে জাতির যে প্রত্যাশা, প্রচলিত অধ্যাদেশ তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ইতোমধ্যে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারিত হওয়ায় এবং তথ্য প্রবাহ আগের তুলনায় অবাধ হওয়ায় প্রকাশনা ও মুদ্রনের ক্ষেত্রে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ”
মন্ত্রিসভা গত ১৫ এপ্রিল এই আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।