মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা গোয়েন্দাগিরি, সহিংসতা উস্কে দেয়া ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।
শনিবার এসব কথা জানিয়েছেন মিশরের সরকারি কৌশলীরা। মুরসির বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখছেন তারা।
মিশরের সরকারী কৌশলীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহামেদ বাদিসহ আটজন ইসলামপন্থী নেতা ও আরো কয়েকজনের নামে অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
মিশরের সেনাবাহিনী গত ৩ জুলাই দেশটির ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমাতাচ্যুত করে। সরকার বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের পর এ পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী দাবী করেছে, লাখ লাখ মানুষ প্রেসিডেন্ট মুরসির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ করায় জনদাবীতে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। এর বিপরীতে মুরসির সমর্থক গোষ্ঠি মুসলিম ব্রাদারহুড দাবী করেছে, গণতন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য সামরিক অভ্যূত্থান করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে সেনাবাহিনী মুরসিকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে, এ পর্যন্ত তাকে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়নি।
মুরসির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে তাকে অভিযুক্ত করা যাবে, ফৌজদারি অপরাধ তদন্তের প্রথম পর্যায় এটি।
তবে এই পর্বেই তদন্তের ঘোষণা দেয়া প্রচলিত ধরন নয়, সাধারণত অভিযোগ গঠণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তদন্তকারী কৌশলীরা।
কারা মুরসির নামে অভিযোগ করেছে তা জানাননি কৌশলীরা। মিশরীয় আইন অনুযায়ী সরকারি কৌশলীরা পুলিশ অথবা যে কোন সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার ক্ষমতা রাখেন।
বাদি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্য কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিয়োগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকেই তা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের অল্প কয়েকজনকেই শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি মিশরীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি মুরসিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এছাড়া মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতাদের গ্রেপ্তার বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।