ক্ষমতাচ্যুতির পর কারাবন্দী হওয়া মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সঙ্গে জেলে দেখা করার বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল গামেল মুখতারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, গত নভেম্বর মাসে একদল আইনজীবী মুরসির সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গেলে তিনি তাঁদের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ মুরসির ছেলে ওসামা মুরসি গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য আবেদন করলেও সরকার সে আবেদন গ্রহণ করেনি।
বর্তমানে আলেকজান্দ্রিয়ার বুর্জ আল-আরব জেলখানায় আটক রয়েছেন মুরসি। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মুরসিকে উত্খাত করার পর মুসলিম ব্রাদারহুডের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়।
কায়রোতে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে সংঘাতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে মোহাম্মদ মুরসির বিচার করা হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মিশরীয় জনগণের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা প্রেরণ করেন। এতে মুরসি বলেন, সামরিক শাসনের পতন না হলে দেশে স্থায়িত্ব ফিরে আসবে না এবং দেশের অভ্যন্তরের সব রক্তপাতের জন্য তারা (সেনাবাহিনী) দায়ী।
গত শুক্রবার মিসরের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মেজর জেনারেল মোহাম্মদ রাতিব বলেন, মুরসির ছেলে ওসামা মুরসি ও আইনজীবীকে গত সপ্তাহে জেল থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা কত দিন পর্যন্ত বলবত্ থাকবে, সে বিষয়ে কোনো কিছু জানা যায়নি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।