i`m what i`m. বিসিবির মূল ভবনের দরজা দিয়ে ঢুকতেই বাঁ দিকে একটা কক্ষ সবার নজরে পড়বে। গত তিন বছরে ওই রুম বড় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। না ওখানে কোন বড় বড় সিদ্ধান্ত আসে না। ওখানে অধিনায়ক রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত আসে না। কিন্তু ওখানে যা যা হয় তাই খবর হয়ে যায় পরবর্তীতে।
সেই রুমের গত দু বছরের এক নিষ্ঠ ভক্ত সাকিব আল হাসানকে গত দুদিন ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু ফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের ক্রিকেটে তিনি নিজস্ব এজেন্ট নিয়োগ দেবেন। তাকে নানা ব্যাপারে বিরক্ত করা ছেড়েই দেয়া হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে যেখানে তাকে ছাড়া চলে না এমন সময়ও তিনি বড় নিরুত্তাপ।
সেটা অন্য প্রসঙ্গ।
ওই কক্ষকে বলা হয় মেডিকেল রুম। মিরপুরের মাঠে আপনি কোন ক্রিকেটারকে নাও পেতে পারেন। কিন্তু ওই রুমে আপনি কাউকে না কাউকে পাবেনই। ডা.দেবাশীষ চৌধুরী তার দল-বল নিয়ে অতি ব্যস্ত থাকেন।
মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা , তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে সাকিব কিংবা সবচেয়ে ফিট মনে হওয়া নাসিরের দেখা মিলবে ওই রুমে।
চারদিকে প্রচুর উপকরণ যাতে ক্রিকেটাররা ইনজুরিতে কষ্ট না পান। ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিচ্ছেদে না থাকেন। যে কারণে বিশেষজ্ঞ দু জন চিকিৎসক নিয়োগপ্রাপ্ত। ফিজিওর সংখ্যা অন্তত: আট।
অথচ সেই বিসিবির চুক্তিভুক ক্রিকেটাররা বারবার ইনজুরিতে পড়েন। গত তিন বছরে ইনজুরির মিছিলটা বাড়ছে। কারণ কি? টাকা। আইপিএল এই বিশ্ব ক্রিকেটে যে কি পরিমানের অসততা ঢুকিয়ে দিয়েছে, সেটা ক্রিকেট বোর্ডের সংগে সংশ্লিষ্ট ছাড়া বোঝানো কঠিন। একটা ম্যাচ ক্রিকেটাররা খেললে যে পরিমাণের অর্থ পান সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্তত: আড়াইটি ম্যাচের সমান।
এই অর্থের লোভে ক্রিকেটাররা লুকিয়ে চলেছেন ইনজুরি। সেটা প্রকট হয় যখন বিপিএল সামনে আসে। তারপর সেটাকে ঘিরে গড়ে ওঠে একটা নি:শব্দ সিন্ডিকেট। যেখানে ওই রুম থেকে ছাড় পত্র মিলে যায় ক্রিকেটারের ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায় সেই ক্রিকেটার খেলার মত যথেষ্ঠ ফিট নন।
গাইড লাইনের বস্তা ঘাড়ে চাপিয়ে সাকিবরা বাসায় গেলে সেটা মেনে চলেন না বলে অভিযোগ আছে বিসিবিরও।
যার বড় মাশুল এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে নাজমুলের না খেলেই ফিরে আসা। একটা হাঁটু আঘাত পাওয়ায়, তিনি অবচেতন মনেই অন্য হাঁটুতে বেশি জোর দিতে শুরু করেছেন সেই বিপিএল থেকেই। সিলেট রয়েলসের এই পেসারকে ওয়ানডে স্কোয়াডে না পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছিল চিতিৎসক পর্ষদ থেকে। কিন্তু আকরাম খানদের সামনে প্রচুর ক্রিকেটার না থাকায়, নাজমুল গেলেন এবং পাঁচ দিনের মাথায় আবার ফিরে আসছেন।
অথচ তার গায়ে ওয়ানডে স্পেশালিস্টের তকমা!
তার বদলে এবার শাহাদাত হোসেন রাজীবকে ওয়ানডে দলে ফেরানো হচ্ছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে দু:স্বপ্নময় ওভার করে বাদ পড়া রাজীবের ফিরে আসা না আসা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কিন্তু একটা জাতীয় দলে ক্রিকেটারদের এমন ইনজুরির মিছিল এতোটা হঠাৎ করে বাড়বে কেনো? চিকিৎসকদের একজনের ভাষায়- অতি লোভের মাশুল দিতে হচ্ছে অনেক ক্রিকেটারকে। কিন্তু তাহলে তাদের থাকা কেনো? তাদের রিপোর্টেই তো ক্রিকেটারদের খেলা না খেলা নির্ভর করে তাই না? উত্তর: কার গলায় ঘন্টা বাঁধবো? শেষ পর্যন্ত তো আমার বিদায় ঘন্টা বেজে গেলে তখন কে দেখবে? হা হা হা। ইনজুরির রহস্য তাহলে তো ওখানেই! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।