নিজেকে চেন। পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারিতে আমাদের দুই আবুল সহ ১০ জন ধরা খাওয়ার কয়েক দিন বাকি, আর ধরা না দিলে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বিদায় জানাবে তা একেবারে নিশ্চিত। আমাগো আবুল (সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী) এতদিন রাস্তার, মাটি, ইট, সুরকি, কংক্রিট চুষে বেশ মোটা তাজা হয়ে গিয়েছিলেন। দেশীয় পর্যায়ে দুর্নীতিতে ভালই পারফরম্যান্স ছিল তার। তিনি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যেখানে চলবে ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়ি।
বর্ষাকালে শুধু নৌকা আর নৌকা। সাড়া দেশে বায়ু দোষণের পরিমান থাকবে শুন্য। তিনি দেশের রাস্তা ঘাটে ফসলাদি আবাদ করে দেশের খাদ্য ঘাটতিও কমাতে চেয়েছিলেন। আদিম যুগের বা প্রস্তর যুগের যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে তিনি নোবেল পাওয়ার দাবিদার। যেখানে তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী কতৃক দেশ প্রেমিক উপাধি পেয়েছেন দেশের বারোটা বাজানোর পর।
চুরি করা যেমন একটা শিল্পের পর্যায়ে পড়ে, তেমনি দুর্নীতিও একটা শিল্প, এটা ভালোভাবে রপ্ত করতে হয়। আমাগো আবুল তা ভালোভাবে না শিখেই লোভে পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলে গেলেন পারফরম্যান্স করতে, একবার ভাবলেন না বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা নয়। দেশের মুখে চুন কালি মেখে দিয়ে আবার সাংবাদিকদের সামনে হাসে। আমাগো আবুলের হাসির ঠিক বিপরীত হচ্ছে তার কাজকর্ম। চুরি করে ধরা পড়লে কি হয় তা আমাদের জানা, দুর্নীতি করে আমাদের দেশে ধরা পড়লে কি হয় তাও জানা, কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কি হয় তা আমরা আজও জানিনা।
তবে আমরা জানি, লোভে মৃত্যু হয়। দেখা যাক আমাদের দেশী এই সব বেহায়া, দুর্নীতিবাজদের কি হয়? এইসব নির্লজ্জ, এক্সপোর্ট কোয়ালিটির দুর্নীতিবাজদের চিড়িয়াখানার খাঁচায় কেন বন্ধ করা হচ্ছেনা? যেখানে সাধারন মানুষ টিকিট কেটে জন্তু জানোয়ারদের সাথে ওদেরও দেখবে, কঞ্চি দিয়ে খোঁচা দেবে, বাদাম দিয়ে ঢিল দেবে। ওদের সাথে এমনই হওয়া উচিত। কিন্তু না, প্রতিদিন অবাক হয়ে দেখি, কিভাবে এত জঘন্য কাজ করেও টপ মডেলের গাড়িতে ওরা দাপিয়ে বেড়ায় সারা দেশ? টিভিতে মুখ দেখায়, হেসে হেসে কথা বলে। এইসব নির্লজ্জদের কাছ থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম মোটেও নিরাপদ নয়।
কি দেখছে? কি শুনছে? কি শিখছে ওরা? কে আসবে? কে করবে? কে দেবে সমাধান? কবে আমরা সবকিছুর উর্ধে উঠে কেবল নিজেদের মঙ্গলের কথা ভাববো? আর কত দিন পরে ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুন্দর, সুখী, আধুনিক দেশ উপহার দিয়ে যেতে পারবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।