আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ধর্ম”গুরুজী

“বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ধর্ম”গুরুজী বিশ্বে যতগুলি ধর্মিয় গ্রন্থ এসেছে,প্রতিটি গ্রন্থেই উল্লেখ রয়েছে যে,অশান্তি দুর করতেই ইশ্বর বা স্রষ্টা আইন বা সংবিধান হিসাবে ধর্মিয় গন্থ প্রেরণ করেছেন। এর অর্থ এই যে,ধর্মীয় গ্রন্থ শান্তি পতিষ্ঠার নিয়ামক। তাহলে বিশ্ব শ্বান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আগে ধর্মীয় গ্রন্থকে সঠিক ভাবে বুঝতে হবে,বিশ্বে তা প্রয়োগ করতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। তবেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তাহলে প্রথমে জানতে হবে অশান্তি কি?তবেই না অশান্তি থেকে উত্তরনের পথ খোজার চেষ্টা করা যেতে পারে।

অশান্তি হচ্ছে,যেকোন কারনে জীবের দৈহিক ও মানষীক কষ্টের শিকার হওয়ার নামই অশান্তি। তাহলে কি পেলে আমরা শান্তি পেতে পারি। শান্তি পেতে হলে জীবের জন্য ৫ টি বিষয় আবশ্যক। ১.ব্যাধি মুক্ত শরীর ২.ক্ষুধা নিবৃত্বির আহার ৩.থাকিবার স্থান ৪.অন্যের দ্বারা অন্যায় আচরণ না পাওয়ার নিশ্চয়তা ও ৫.ইজ্জত নিবারণের আব্রু বা পোশাক। আর প্রতিটি ধর্মীয় গ্রন্থেই কি কি নিতিমালা বাস্তবায়ীত হলে এগুলি পাওয়া যেতে পারে তার পুর্ণাঙ্গ আলোচনা করা হয়েছে।

তাই এ সকল গ্রন্থকে জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি কিতাবী সম্প্রদায়ের ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নিজ ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ধর্ম গ্রন্থের মূল বিষয়কে বিকৃত করেছে। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছে অসাম্য,অশান্তি ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগীতা,আর তারই শিকারে বিশ্বে ৪০% জীব দরীদ্র সীমার নিচে অশান্তিতে বাস করতে বাধ্য হয়েছে। ধর্ম গ্রন্থের বিকৃতী । ।

সর্ব প্রথম আমি মুসলীম ধর্ম সম্প্রদায়ের স্রষ্টা হতে প্রাপ্ত ধর্মীয় কিতাব পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে আলোচনা করব। এই কোরআন ৬১০ খৃষ্টাব্দ হতে ৬৩৩ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তাদের নবী হযরত মহাম্মদ (সা)এর নিকটে আরবী ভাষায় অবতির্ণ হয়। ধর্ম ব্যবসায়ী ও অন্ধ বিশ্বাসীরা বলে একমাত্র তাদের কিতাব অর্থাত কোরআনই এ পর্যন্ত অবিকৃত রয়েছে বাদ বাকি সব কিতাবই বিকৃত হয়েছে। কিন্তু মুক্ত চিন্তার জীব তো আর চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তাই আসুন দেখা যাক এই কোরআন কতটুকু অবিকৃত রয়েছে।

শীয়া মুসলিমরা দাবি করে প্রথম দিকে কোরআনের আয়াত সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার,কিন্তু সুন্নী মুসলমানেরা বলে এবং কোরঅনের প্রারম্ভে লেখে ৬৬৬৬ আয়াত। ৮২ সালে আমি অধম কোরআনের আয়াত গুণে দেখলাম ৬২৩৬ টি। ৪৩০ টি আয়াত এই কোরআন শরিফের মধ্যে নাই। এখন বিবেচনা করুন এ পর্যন্ত কোরআন কতটুকু অবিকৃত রয়েছে। শুনেছি এই কোরআন নাকি ৪০ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।

অনুবাদ কোন ভাষায় কতটুকু বিকৃত হয়েছে জানিনা ,তবে বাংলা অনুবাদে যে প্রায় ৫০% অনুবাদ বিকৃত হয়েছে,তা আমি অধম অশিক্ষিত,মূর্খ হয়েও উপলব্ধি করতে পেরেছি। প্রমান হিসাবে সুরা ফাতিহা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। আগামী ২৪ ঘন্টায় আপনারা খুজে দেখুন অনুবাদে কোন ভুল আছে,কি,না। আগামীকাল ঠিক এই সময় কি কি ভুল আছে ,আমি অজ্ঞ, উঠিয়ে ধরার চেষ্টা করবো। সুরা-ফাতিহা"মক্কাবতীর্ণ-রুকু=১.আয়াত=৭ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা' আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা। الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। مَـالِكِ يَوْمِ الدِّينِ যিনি বিচার দিনের মালিক। إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।

তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। চলবে... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.