আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীণফোন সেন্টারে সার্ভিস গার্লের ঘাওড়ামী

রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই ঘটনাটা গেল রোজায়। আমি রবি সিম ব্যবহার করি। কিন্তু মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য আমি একটা জিপি সিম ব্যবহার করি। জিপি সিম মোবাইলে ঢুকিয়ে টিকেট কাটি, আর পরে রবি সিম মোবাইলে ঢুকিয়ে দেই। গেলাম ঢাকার একটা জিপিসিতে।

মোবাইলে ম্যাসেজ দেখালাম। মহামান্য (জিপিসি'র কাস্টমার সার্ভিসের মানুষগুলা মনে হয় নিজেদের সমাজের এলিট ক্লাসের সদস্য মনে করে) সার্ভিসগার্ল বলল, এই ম্যাসেজ দিয়ে টিকেট দেওয়া যাবে না। কারণ'' ম্যাসেজ সেন্ডারের নাম হিসাবে MobiCash লিখা নাই। '' ' মোবিক্যাশ দিয়ে টিকেট কাটলে যে ম্যাসেজ আসে সেটাতে সেন্ডারের নাম হিসাবে MobiCash কথাটা লিখা থাকে। কিন্তু যখন আমি জিপি সিম খানা সেট থেকে খুলে ফেলি, তখন MobiCash কথাটা গায়েব হয়ে গিয়ে No Number লিখা আসছে।

ম্যাসেজ আছে, কিন্তু সেন্ডারের নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে। '' এটা পরিষ্কার জিপি কিংবা মোবিক্যাশ এর সমস্যা, আমার কিংবা সেটের কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু সেই তথাকথিত এলিট মহিলা ঘাওড়ামী শুরু করলো। যখন মোবাইল থেকে টিকেট কাটা হয়, তখন একটা বুকিং কোড আর সেই বুকিং কোডের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নাম্বারও সার্ভারে যুক্ত হয়ে থাকে। বুকিং কোড আর মোবাইল নাম্বার মিলে গেলে তখনই টিকেট প্রিন্ট হয়।

আমি বললাম, আপনি আমার জিপি এর নাম্বার চেক করে দেখেন। আমার নাম্বার ঠিক আছে কিনা? তারপরও মহিলার ঘাড় সোজা হয় না। ইচ্ছে করছিলো কষাইয়া ২ খান থাপ্পড় দেই। আমিও ছাড়বার পাত্র নই, শেষপর্যন্ত বললো, এইবার আপনাকে টিকেট প্রিন্ট দিচ্ছি, ভবিষ্যতে আর দিবো না। এর পর থেকে টিকেট কেটে সাথে সাথে প্রিন্ট নিয়ে নিবেন।

(আমার বুঝি আর খাই দাই কাম নাই?) এসএমএস এর টিকেটেই লিখা আছে, ট্রেন ছাড়ার অন্তত ১ ঘন্টা আগে আমাকে টিকেট প্রিন্ট নিতে হবে, আমার সুবিধাজনক সময়ে। কিন্তু সেই বেডি মনে হয় পড়ালেখা ঠিক মতো শিখে নাই। বলল, ঐ সব বুঝি না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.