আমি আমার আনন্দে লিখি!!! চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে যে, গ্রামীণফোন জাতীয় কবি নজরুলের গানকে বিকৃত ও অপমান করে দেশের সংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। মধ্যরাতের কিছু বিপথগামী তরুণদের জন্য এই গান লিখা হয়নি। কথা চরম সত্য।
তবে কেউ বলছে না যে, এই অ্যাড. টার এজেন্সি কারা, কারা এই আইডিয়া দিয়েছে, কারা ডিরেকশন দিয়েছে এবং কারা বানিয়েছে! গ্রামীণফোন অবশ্যই দোষ করেছে। কারণ, তারা অ্যাডটা নিয়েছে এবং তারাই ক্লায়েন্ট।
যেহেতু গ্রামীণফোন বিদেশী কোম্পানী কাজেই সব দোষই তাদের, যে এজেন্সি আইডিয়া দিয়েছে, যারা বানিয়েছে তারা ধোয়া তুলসী পাতা কারণ তারা এদেশের সন্তান। সুতরাং দেশীয় সন্তান হিসেবে এদেশের সংস্কৃতিকে বলাৎকার করার অধিকার তাদের আছে। নাই শুধু বিদেশীদের। দেশীদের সাত খুনও মাফ। কারণ তারা দেশী।
এদেশের মানুষের রক্ত চুষে বিদেশীদের বিরুদ্ধে দু’একটা কথা বললেই এখানে দেশপ্রেমীক হওয়া যায়, সমর্থন পাওয়া যায়, ভোট পাওয়া যায়।
জাতীয় কবি নজরুলের গানের এই অপমান কেউই যেন মেনে নিতে পারছে না। সবাই ক্রোধে উন্মত্ত। অথচ এই নজরুলই যখন তার জন্ম এবং মৃত্য বার্ষিকীতে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে একবেলার বেশী কোন কভারেজ পাইনা তখন প্রতিবাদ তো দূরে থাক, কারো ভাবারও অবকাশ থাকে না। এই হল আমাদের জাতীয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।
শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে কথা বলে যিনি নিজেই হয়েছিলেন নিগৃহীত তাকে এখন মনে রাখার কী-ই বা দরকার! বৃটিশদের তো তাড়িয়েছি! দেশ তো স্বাধীন! নজরুলের এখন কী দরকার!
অন্যান্ন কবিকে নিয়ে এক সপ্তাহব্যাপী চলে সেই কবি-সপ্তাহ। অথচ নজরুলের জন্য একবেলা; তবুও টিভি চ্যানেলগুলোর দেয়ার মত টাইম স্লট থাকে না। কারণ এতে ব্যবসা তেমন জমে না। শোষণ, পুজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধচারী এই কবির প্রোগ্রামে কোন মুনাফাখোর পুজিবাদী স্পন্সর করতে চাই না।
বঙ্গবন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই যে, এই কবিকে এই দেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছিলেন।
তা না হলে হয়ত এই বিপ্লবী একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যেতেন। আর ফেসবুকে বসে বসে কিছু ভার্চুয়াল দেশপ্রেমীক অনলাইনে তাকে খুজে বেড়াত।
সুমিত মাহমুদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।