অদ্ভুত পৃথিবী দোহার বাসি কেমন হয় যদি আপনার দেখেন আপনার দোহার একটি মরুভুমিতে পরিনত হয়েছে,কোন পানি নেই, গাছ মরে যাচ্ছে ,পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে ,আপনার টিঊবওয়েলে পানি নেই নিশ্চয় ভালো লাগবে না । আর কয়েক বছরের মধ্যে আপনার দোহার এমন টি ই হবে , বর্তমানে ঢাকা ওয়াসা একটি প্রকল্প বাস্ত বায়নের কাজ চলছে যেটিতে দোহারে বড় বড় পাম্প বসিয়ে পানি ঊঠিয়ে সেই পানি পাঠাবে ঢাকায়। যদিও ঢাকা বাসির কাছে সুখের কিন্তু এটি আপনার জন্য মরন ফাদ অপেক্ষা করছে । প্রতিদিন সেখান থেকে ২০০-৩০০ কোটি লিটার পানি ঊঠাবে যার ফলে দোহারের পানির স্তর নিচে নেমে যাবে । যারা কৃষির সেচ কাজের জন্য অগভীর পাম্প ব্যাবহার করেন তাদের পাম্পে আর পানি উঠবে না ফলে তাদের সেচের জন্য গভীর পাম্প বসাতে হবে এক একটি পাম্প বসাতে খরচ পরবে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা যেটি কৃষকের পক্ষে বসানো সম্ভব নয়।
ফলে কৃষি জমি পরিনত হবে অকৃষি জমিতে , ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে ,কৃষক হবে নিঃস্ব। আমার জানা মতে দোহারে বেশি ভাগ এলাকা গ্রামাঞ্চল যার প্রতিটি পরিবার তার পানির চাহিদা মেটায় টিউবয়েলের পানি দিয়ে । এই প্রকল্প বাস্তাবায়ন হলে কোন টিউওবয়েলে পানি ঊঠবে না , পানির জন্য শুরু হবে হাহাকার!! ,এই পানির স্তর নিচে নেমে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মারাত্বক প্রভাব ফেলবে , গাছ মরে যাবে ,তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে তখন এই গ্রাম আর গ্রাম থাকবে এটি হবে ঢাকার কাছে একটি মরুভুমি । সর্বপরি দোহারে অর্থনিতির ওপর মারাত্বক প্রভাব ফেলবে ,পন্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে ,জীবন মানের উপর হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এই প্রকল্প।
কি ভাবে প্রভাব ফেলবে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রে আসুন দেখিঃ
উপরের ছবি গুলতে দেখা যাচ্ছে যখন পাম্প দিয়ে পানি উঠানো শুরু হচ্ছে তখন পানির স্তর বাকা হয়ে পাম্পের পাইপের দিকে ঢুকছে , তার পর মুল পানির স্তর আস্তে আস্তে নিচে নেমে যাচ্ছে ফলে উপরের স্তর পানি শুন্য হয়ে যাচ্ছে ।
ভাবতে পারেন যখন প্রতিদিন শত শত কোটি লিটার পানি উঠবে তখন কি হবে ?????? সর্বপরি পরিবেশ বাদী সংঠন, জনসাধারন ও সরকাররের কাছে আবেদন এই উদ্ভট প্রকল্প বাতিল করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।