সত্যি কথা বলতে ও শুনতে চাই শুধু কথা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ চাই চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ার পর এবছরের শেষে একাত্তরের ন্যাক্কারজনক এই হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে আভিযোগপত্র দিতে চায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাধুবাদ জানাই তাদের। জাতিকে পঙ্গু করার প্রয়াসে ২৫শে মার্চ থেকে শুরু করে সারাদেশে টার্গেট করে প্রায় ২০০০ শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়রদের খুন করে পাক হানাদার বাহিনী। এদের মধ্যে খোদ ১৪ ও ১৫ই ডিসেম্বরে ঢাকাতেই খুন হন প্রায় ১১০০জন। বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নত করতে সহায়তার অভিযোগ আছে দেশীয় আল-বদর, আল-শামসের বিরুদ্ধে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে পাক সেনারা বাসা ও অন্যান্য জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করে খুন করে দেশের বরেণ্য এসব জনগনকে। চোখ আর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অগনিত লাশ পাওয়া যায় রায়েরবাজার আর মিরপুর বধ্যভূমিতে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দলের সমন্বয়ক মো হেলাল উদ্দিন শুক্রবার সময় টিভিকে বলেন যে প্রাথমিক তদন্ত শেষে তারা সম্ভাব্য দোষীদের (যাদের অবস্থান তারা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছেন) গ্রেপ্তারের জন্য আবেদন করবেন। অধীর আশায় আছি মনবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ট্রাইব্যুনাল এই বিষয়েও স্পষ্ট ও সুষ্ঠু তদন্ত করবে এবং সেইসব হায়েনাদের শাস্তি দিয়ে নজির স্থাপন করবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।