বিএনপির সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বলেন, তারেক রহমান কুখ্যাত ও খারাপ লোকদের ভালোবাসেন। তিনি বগুড়ার বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শোকরানার প্রতি ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
২০০৮ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। সম্প্রতি তারবার্তাটি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস।
তারবার্তায় বলা হয়, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বগুড়ার সাতটি আসনেই জয় পায়।
তবে সেই সাতটি আসনের চারটিতে নতুন প্রার্থী মনোনীত করেছে সংগঠনটি। কারণ সেসব আসনের সাবেক প্রার্থীরা খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে দল থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তারা খালেদা ও তারেকের ক্ষমতা কুক্ষিগত
করে রাখার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সংস্কারপন্থিরা বিএনপিকে স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার বলয় থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছিলেন। প্রধানত এ কারণেই তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সে সময় দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা বগুড়ায় ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সফর করেন। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন না পাওয়া জিএম সিরাজ তার সঙ্গে ফুড ভিলেজ রেস্তোরাঁয় সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সিরাজ দম্ভ্ভভরে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তিনি তার কাছে সমর্থন চাইতে যাবেন না। উল্লেখ্য, সে সময় খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে বিশেষ কারাগারে আটক ছিলেন। সিরাজ রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে বলেন, 'আমি পার্টির মধ্যে গণতন্ত্র চাই।
' তিনি তারেকের সমালোচনা করে বলেন, তারেক রাজার মতো আচরণ করেন এবং চারপাশে মোসাহেবদের চাটুকারিতা পছন্দ করেন। তারেক রাজনীতিতে এলে আমরা মেনে নিতে পারিনি। আমরা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলাম। '
২০০১-এর নির্বাচনে জয়ী বগুড়ায় বিএনপির সংস্কারপন্থি চার নেতা হলেন_ সুশীল সমাজের নেতা মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, নম্রভাষী রেজাউল বারী ডিনা, জিয়াউল হক মোল্লা ও জিএম সিরাজ। তারা সবাই দুর্নীতি ও পার্টির অভ্যন্তরে স্বৈরতন্ত্র-পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
খবর বাংলানিউজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।