চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালের পরের দিন। বার্মিংহামে ভারতিয় টিম হোটেলের সামনে একরাশ ভিড়। সবাই ধোনিকে দেখতে চায়। এক ব্রিটিশ কোম্পানির বিপনন কর্মকর্তাও এসেছেন। আগের দিন মাঠে ইশান্ত শর্মার হাতে বিপদজ্জনক সময়ে বল তুলে দেয়ার জন্য তিনি ধোনিকে নিয়ে হেসেছিলেন।
কিন্তু ভারত চ্যাম্পিয়ন্স হওয়ার পরের দিন খুব আগ্রহ নিয়ে বললেন-'আপনার মন কিভাবে কাজ করে সেটা যে কোন ম্যানেজমেন্ট সংস্থাই জানতে চাইবে। 'বিপনন কর্তাটি বোধ হয় জানতো না,ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর একটি বিশ্ববিদ্যায় ধোনির ব্রেন-ম্যাপিংয়ের দাবি তুলেছিল !
ওয়াংখেড়ের ফাইনালে ছক্কা মেরে ধোনির বিশ্বকাপ জয়ের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে ? ম্যাচের পর অষ্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও নাক উঁচু 'চ্যাপেল ভাইদে'র বড়জন ইয়ান চ্যানেল তার কলামে লেখেন-''ধোনি প্রমান করেছে,সে বিশ্বসেরা অধিনায়কদের একজন। শুধু তাই নয়,গত ত্রিশ বছরের মধ্যে সেই সর্বোত্তম। তার স্থান এখন ইমরান খান,মার্ক টেলর,অর্জুন রানাতুঙ্গাদের কাতারে। ''
ইতিহাস তার পাতা ওল্টায় মুহুর্তের মহিমায়।
সেখানে দুইবছর সময় তো,এন্তার। তাই ইয়ান চ্যাপেলের ওই স্তুতিকে এখন ধোনির ভারের তুলনায় কম বলেই মনে হয় !
ক্লাইভ লয়েড,অ্যালান বোর্ডার,স্টিভ ওয়াহ'র মতো ক্রিকেটের কুলীন তালিকার অধিনায়কদের সময় টি-২০'র দামামা ছিল না। এজন্য তারা মনে আক্ষেপ রাখলে দোষ দেয়াও যাবে না। কেননা, বড় বিশ্বকাপ (ওয়ানডে) বাদে ছোট বিশ্বকাপ (টি২০) বিশ্বকাপের রেওয়াজ তখন ছিল না। থাকলে, তারা কি করতেন কে জানে ! এদিক দিয়ে ধোনিকে বলতেই হবে ভাগ্যবান !
ক্রিকেটের ঝকমকারি দুনিয়ায় ধোনিই এখন একমেবিদ্বিতীয়ম।
বড় ও ছোট বিশ্বকাপের সঙ্গে কিছুদিন আগে মাঝারিটাও (চ্যাম্পিয়ন্স) জিতে নিয়েছে ঝাড়খন্ডের ছেলেটি। ইতিহাসের আর কোন অধিনায়কই আইসিসির এই দুই ফরম্যাটের তিনটি কুলীণ শিরোপা জিততে পারেননি। যা,বরফ শীতল মানসিকতায় করে দেখালেন ধোনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।