জামায়াতে ইসলামি যুদ্ধ অপরাধের দায়ে আটক তাদের নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। এ খবরটি নতুন নয়। এতে অনেকের মতো আমিও হতবাক হইনি।
তাদের শীর্ষ নেতাদের প্রায় দেড় বছর আগে আটক করার পরও এতদিন তাদের নীরবতাই বরং আমাকে আশ্চার্যান্বিত করেছে। তবে গতকাল ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত জামায়াতি গুণ্ডা বাহিনীর সামনে নিরস্ত্র পুলিশকে অনেকটা অসহায় মনে হয়েছে।
ঢাকার পত্রিকাগুলোতে এরকম একটি চিত্রই ফুটে উঠেছে।
স্বাভাবিকভাবে নিরীহ পুলিশ বেচারাদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ নিহত না হলেও পুলিশের টেলিকম শাখার ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলামসহ ১০ জন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দৈনিক ইত্তেফাকের খবরে জানা গেছে। Click This Link
ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে এতটা ভালো অবস্থায় পৌঁছেছিল যে তা গত ৪০ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে ছিল নজীরবিহীন।
আইন শৃঙ্খলার এই অভাবনীয় উন্নতির জন্য যে পুলিশ ভাইয়েরা নিরলস পরিশ্রম করলেন, তাদের ওপর জামায়াতের এ নৈরাজ্য মেনে নেয়া যায় না।
কিন্তু আমার একটি প্রশ্ন জাগছে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্য শুনে। তিনি আজ বলেছেন, জামাআতের পরিকল্পিত হামলায় ৪০ জন পুলিশ গুরুতর আহত হয়েছে। Click This Link
এখন বুঝতে পারছি না, দৈনিক ইত্তেফাকের কথা (১০ পুলিশ আহত) বিশ্বাস করবো, নাকি রেডিও তেহরানের অনলাইনে প্রচারিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য (৪০ পুলিশ আহত) বিশ্বাস করবো? ব্লগার ভাইদের মধ্যে কোন রিপোর্টার থাকলে সঠিক তথ্যটি জানিয়ে বাধিত করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।