ইদানিং শিক্ষক কতৃক ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তা সত্যিই দুঃখজনক, কষ্টদায়ক ও উদ্বেগজনক। অবশ্য এখানে শব্দ গুলো কেন যে জনক; জননী নয় তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। শুধু নির্যাতন নয়, ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়া বা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা বেড়েছে। এ ধরনের ঘটনা গুলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পবিত্র সম্পর্ক কে নষ্ট করে দিচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা শুধু যে এখন ঘটছে তা এমন নয়।
এ ধরনের ঘটনা অনেক আগে থেকেই ঘটে আসছে আমাদের সমাজে। লজিং বাড়িতে ছাত্রী পড়াতে পড়াতে এক সময় প্রেম হত; কখনো বা অন্য কিছুও হত। তারপর জানাজানি হলে বিয়ে দিয়ে দিত।
বর্তমান সময়ে ভাল লাগলে কিছু করার চিন্তা আসে। বিয়ের চিন্তা আসেনা।
যদি পার পেয়ে যায় তবে তো পোয়াবারো। আর ধরা খেলে পরিমলের (মল) মত অবস্থা হয়। মল যত ঘাটাঘাটি করে তত দুর্গন্ধ ছড়ায়।
কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটে কেউ কি এ ব্যাপারে লজিকালি চিন্তা করেছি???
নারী পুরুষের মাঝে পরস্পরের প্রতি যে আকর্ষণ তা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। আর অনেক সময় কাছাকাছি থাকলে মনের মাঝে বিক্রিয়া শুরু হয়।
আর এ থেকে পরস্পরের কাছাকাছি যাওয়া। ভালবাসা বা অন্য অনেক কিছু ঘটে থাকে। অবশ্য যার অন্যদের প্রতি আকর্ষণ নেই তার কথা ভিন্ন। একজন সুন্দর মেয়ে দেখলে যেকোনো ছেলে তাকাবে (তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়া, একি মোর অপরাধ) আর সে যদি সাহসী/নিচুমনের হয় তবে টিজ করবে।
বর্তমান এই এক্সপোজারের যুগে যেভাবে সবাই খোলামেলা পোশাক আর সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে তা থেকে আকর্ষণ বাড়বে বৈ কমবে না।
একটা কৌতুক বলে তারপর বাকি কথা বলছিঃ
“একবার মহাবীর আলেকজান্দার একা শিকারে বের হলেন। তো যেতে যেতে এক বনে গিয়ে রাত হল। তিনি থাকার জায়গা খুঁজতে লাগলেন। দেখলেন ছোট্ট একটা কুটির। তো তিনি এখানেই রাত কাটানোর সিদ্বান্ত নিলেন।
এই কূটিরে একা একটি মেয়ে থাকে। তিনি থাকার অনুমতি চাইলেন পরিচয় গোপন করে। তাকে থাকার অনুমতি দেয়া হল। রাতে তারা এক খাটে ঘুমাল যেহেতু আর কোন জায়গা নেই। যাক রাত শেষ হল।
সকাল বেলা মহাবীর বিদায় নেয়ার সময় পরিচয় দিয়ে বললেন ‘আমি হলাম বিখ্যাত বীর আলেকজান্ডার’। মেয়েটি উত্তর দিল আপনি কেমন বীর যে মাঝখানে থাকা একটা বালিশ সরাতে পারেন না!!!!!!!!!!!!”
যাই হোক এ ধরনের ঘটনার পিছনে শিক্ষকের নৈতিকতার ঘাটতিই অনেকাংশে দায়ী, এ কথা চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে। তবে ছাত্রী কে দোষ দেয়া যায় কিনা আমি বলবনা। ছাত্রীরা যেভাবে সেজেগুজে শিক্ষকের কাছে পড়তে যায় তা একটু দেখেই আমার হার্টবিট বেড়ে যায়। শিক্ষক যদি হিজড়া না হয় তবে তার মনেও কিছু হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
আমি তো শুধু দেখেই যাই শিক্ষক তো অনেক সময় কাছাকাছি থাকে।
একজন পরিমল বা এরকম যারা ধরা পড়ছে তাদের বিচার করলেন। কিন্তু আমার বোনের যা ক্ষতি হওয়ার তাতো হয়েই গেলো।
এরকম যাতে আর না ঘটে, আর কোন বোন যাতে এ ধরনের ঘটনার শিকার না হয় সে জন্যই আপনাকে এর গভীরে যেতে হবে। এর কারন খুঁজে বের করে তা দুর করতে হবে।
আসল কথা হল
শুধু ঘটনা নিয়ে চিল্লাচিল্লি করলে তো হবে না, এর পিছনের কারন নিয়েও চিন্তা করতে হবে। শিক্ষার এত প্রসারের পরও কেন আমরা ঘটনার পিছনের কারন গুলো অনুসন্ধান করি না (যা বিজ্ঞান সম্মত)? ঘটনার গভীরে গিয়ে চিন্তা করি না? Social and individual cause গুলো নিয়েও চিন্তা করতে হবে। Social, moral and religious value may help us find the solution.
নির্যাতন বিরোধী পোস্ট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।