আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জুনের মনোলগ কিংবা ক্রাস

অন্ধকার; মৃত নাসপাতির মতন নীরব ছেলেবেলায় কড়া রোদের মাঝেও এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গ্যালে পুকুর পাড়ে বড়শি নিয়ে সবচেয়ে অদ্ভুত রংধনুদের শিকারে যেতাম । মাছরাঙার আলোয় ভীতবিভ্রান্ত কোন রূপচাঁদা বড়শিতে আটকে গ্যালে আমি রংধনু দেখতে দেখতে বাড়ি ফিরে আসতাম । == মাঝে মাঝে যখন বাতাস গেয়ে উঠে নীরবে, মরচে পড়া টিনের চালে বৃষ্টিফোঁটার রিমঝিম শব্দের আড়ালে, আমি শুনি; দৃশ্য গুলো চোখের সকাশে, সর্পিল পথে ঘুরপাক খেতে খেতে স্মৃতির ক্যালাইডোস্কোপে ফোঁটারা একে অপরের অভিঘাতে প্রতিক্ষিপ্ত হয় । মাঝে মাঝে বাতাস আমাদের দূরতম মর্মের তান তোলে, আমি শুনি, ফিসফিস স্বরে সতর্ক কথন । === সরীসৃপদের মত যখন বুকে হেঁটে যেতাম কাঁকরনূড়ি চিহ্ন যেত মালাইচাকির শিশুত্বকে শুনেছি পাতাদের পতনছন্দে সতন্ত্র সুর দেখেছি হিমবাতাসের মেরুদণ্ড বাঁকানো বুনোরোষে সবুজ শুষে নেয়া প্রবীন এক দেবদারুর নিচে বসে ভদ্রতার কৌপিনে ধারন করেছি মৌসুমী ফসল, তীক্ষ্ণ ঋতুদাগ সমুহ অনুসরণ করেছি জলস্রোত, পিছু পিছু দেখেছি তার আলস্যভরে মুছে যাওয়া আজ ভুমিস্পর্ষী বুড়ো মেঘ ছিড়ে বেরিয়ে আসছে নিস্পন্দ স্মৃতির অঙ্কুর === রাতে ঘুম ভেঙ্গে গ্যালে আমি প্রায়ই ইউটিউবে ঘুরেফিরি আজকে একটা ক্লিপে হঠাত আমাকে দেখতে পেলাম, ১৯৩৮ সালের আমি, অবিকল আমার মতই কিংবা আমিই, আমার সাদাকালো দ্বিতয়, তখন আমি ছিলাম ড্রামবাদক, ফুয়েরারের সৈন্যদল আমার ড্রামের তালে মার্চপাষ্ট করাতো ।

মনিটর স্ক্রিনে আমার সিভিতে দেয়া ছবিটা ওপেন করি, মিলিয়ে দেখি, অনুভব করি আর জনমের রক্তের স্পন্দন । খুঁজে দেখো হয়তো তোমাদের অনেকেরই প্রতিপাদ সিসিফাস, সৈনিক মিথুন ছিল সেই কুচকাওয়াজ দলে । ==== তুমি জলের মত নির্ভুল, জোছনার ননী মাখা উপল মলাটে বাঁধা প্রতিমা । তোমার তুরপুন নয়ন যেন সাঁজোয়া এক জলকামান; আমার অনুভুতি-ব্যূহ ক্ষনিকেই করে দেয় ছত্রখান । ভীরুলোচনের ঘুমপাহাড়ে সবুজ স্বপ্নলোকের স্ফুরণ, মিহিন বার্লিদানা যেন, হেসে উঠে কপতনয়ন জাফরান পাখিদের গান ।

নেত্রপল্লবে ফোঁটে ভোর দিগন্তের রেখা; নীলাভ্র চোখের ছড়, হৃদতন্ত্রীতে তোলে শিহরণ । গোলাপের জোড়া পাঁপড়িতে জমেছে জোড়া নীহারমুক্তা সারি, ডালিমের দানার মত । গর্বিত গ্রীবা, কপোল মন্দির যেন জবাফুলের কিঙ্করী । স্ফুরিতাধর তুলে বিশুদ্ধ পাখিতান, ধরেছে মদির আধোবোল । কাঠবাদাম আঙুলে আঁকা সূচিমুখ নখ-তলের সংবেদ ।

কি সচ্ছন্দ তোমার রেশমী কাপড়ের তারল্য, পোষাকের প্রবাহমানতা আর তোমর হেঁটে যাওয়া; 'এ কী শোভা, মনোলোভা জবাকুসুমবরনা' । [ক্রাস -১০০৬১৩] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.