কারো জন্য ভাল কিছু করতে না পারলেও কমপক্ষে ক্ষতি করা থেকে তো বিরত থাকতে পারি দেশের জন্য যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের খ্যাতনামা ব্যান্ডসঙ্গীত শিল্পী আজম খান শেষ পর্যন্ত বিদায় নিয়েছেন এক প্রকার অর্থকস্টে। তাঁর চিকিৎসার জন্য সরকার থেকে যে পরিমাণ অনুদান দেওয়া হয়েছিল তা উন্নত চিকিৎসার জন্য যথেস্ট ছিল না।
অথচ একজন ঘৃণীত রাজাকার দেশের শত্রু গোলাম আজম কয়েদি হয়েও রাজার হালে বাস করে সরকারী হাসপাতালে। তার প্তিদিনকার খাবার মেনু দেখলে মনে হয় না সে একজন যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত রাজাকার।
প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী তার প্রতিদিনকার খাবারের তালিকা যা কিনা সরকারী খরচে দেওয়া হয়:
গোলাম আযমের স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে গত বছরের ৪ মার্চ তাঁর খাবারের তালিকা ঠিক করে পাঠান।
সে অনুযায়ী সরকারি খরচে অন্যান্য রোগীর চেয়ে আলাদা ও উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে তাঁকে।
গোলাম আযমের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে সকালের নাশতায় লাল আটার চার-পাঁচটি রুটি, সঙ্গে ডিম ভাজি, আলু ছাড়া সবজি ভাজি, মুরগির মাংস (কারি/ভুনা), মিষ্টি, এনসিওর দুধ ও কলা দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সৈয়দা আফিফার দেওয়া তালিকায় গোলাম আযমের জন্য দুপুরের খাবারে রয়েছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি বা চিংড়ি মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছ ভুনা, সালাদ ও লেবু, মাল্টা বা বরই বা নাশপাতি। সন্ধ্যার খাবারের তালিকায় রয়েছে লাড্ডু, নিমকি-বিস্কুট ও হরলিকস বা স্যুপ।
রাতের খাবারের তালিকায় আছে চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ঢ্যাঁড়শ বা মিষ্টিকুমড়া বা পেঁপে ভাজি, গরু বা খাসির মাংস ভুনা, সালাদ ও লেবু এবং কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙুর বা বরই।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোলাম আযমের স্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ নতুন তালিকায় খাবার সরবরাহ করতে শুরু করে।
এ তালিকায় রয়েছে সকাল নয়টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় দেওয়া হয় খিচুড়ি, সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা দুইটায় দেওয়া হয় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার।
বিকেলে নাশতায় তাঁকে সরবরাহ করা হচ্ছে স্যুপ ও ফল। রাত আটটায় দেওয়া হয় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল।
Click This Link
হায়রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।