মাইরের ডরে সবাই একটু আধটু কাঁদবেই । কাঁদলেই কি মাইরের থেকে বাঁচা যায় । সেইদিন শাপলা চত্বরে কি বক্তিতা দিয়েছিলো কারো মনে আছে, সরকারকে পালাবার জন্য হুমকী ধামকী দিয়েছিল । আগের দিন বিকালে খালেদা জিয়া ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো । আর বাবুগিরী করতে গিয়ে তিনি কোন সময় দেন নাই ।
নিজেকে সেদিন প্রধানমন্ত্রী ভাবতেছিলো । কত্তো পাওয়ারফুল হুংকার । যে কথা বলতে বিএনপি সাহস পায় না উনি বিএনপির চেয়ে দূই এক ডিগ্রী উপর দিয়া গিয়া ছুটেছিলেন । মানে খালেদা জিয়ার চাইতে বেশী পাওয়ার । যদি বিএনপি সরকারে থাকত তাহলে বলত ঠিক মত মাথায় কাপড় দেন না, মেয়ে মানুষের কাজ ঘর গুছানো ।
ঘর থেকে বাহিরে যাবেন না । আপনি আমাদের এত সমর্থন দিয়েছেন তাই আপনাকে ম্যাডাম পাঁচ মিনিট সময় দিলাম কাপড় চোপড় সুটকেস টেকা পয়সা সব গুছাইয়া লন্ডনের ফ্লাইট ধরেন । সোজা যাইয়া ছেলের সাথে থাকবেন দেশে ফেরত আইবেন না । দেশ আজ থেকা আমরা চালামু । জামাতের পাল্লায় পড়লে কি না করতে পারে ।
আরেকবার জামাতের সাথে ক্ষমতায় আসলে জামাতও এমনটাই করবে । ২৩১ টি আসনে সংখ্যা গড়িষ্ট কোন সরকারকে সে ফুদিয়ে উড়িয়ে ফেলতে চেয়েছিলো । ভালইতো । জনগনের সরকার যে যেখান দিয়া পারতেছে সরকারকে একটা করে লত্থি দিয়া যাইতাছে । কেউ দিতেছে জিরো গ্রাভিটিতে কেউ আবার ৪৮• গ্রাভিটিতে ।
পুলিশ ভাইয়েরা ধইরা বাইড়াইয়া হাত পাওগুলি ভাঙ্গেন । ডিম পড়া দেন । বাটি চালান দেন । আপনেরা না পারলে আমারে দাওয়াত দেন । সাড়া রাইত না খাইয়া অফিসে বসেছিলাম ।
ছাদের থেকে দেখছি কয়ডা মরছে আর কয়ডা মারছে । একটা পুলিশকে সমাবেশের ভিতরে নিয়া হাজার হাজার হেফাজতির মাঝ খানে লাঠি আর দিয়া বাঁশ বাইড়াইতে বাইড়াইতে চোখের পলকে মাইরা ফালাইছে । লাশটাও ফেরত দেয় নাই । রাত্রে যৌথ অভিযানের পরে সেই পুলিশের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছিল । কেউতো আফসোস করলো না ।
পুলিশ মরলে দিল কলীজা কোন কিছু জ্বলে না । হেফাজতে জামাত জ্যান্তটাকে মৃত বানিয়ে আফসোস করতে মজা লাগে । আত্বীয় না স্বজন না তার পরেও ওদের জন্য বুকটা ফাইট্টা যায় । মানুষ কত খারাপ হইতে পারে । তার পরের দিনও(৬ই মে,২০১৩) নারায়নগঞ্জে দূইজন পুলিশ আর একজন বিজিবি মাইরা ফালাইলো ।
কেউ একবার কইলো না হেফাজতে জামাতরা পুলিশ বিজিবি মারছে ঘটনাটা দূঃখ জনক । সংবাদ সম্মেলন করবো দূরের কথা । সহানুভুতি জানাতে হলে উভয়ের জন্য জানানো উচিৎ । আইন শৃংঙ্খলা বাহীনির উপরে আক্রমন করবো আর উনারা বুঝি চাইয়া চাইয়া তামশা দেখবো । জয়নাল আবেদীন ফারুক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ সাহেবকে ছাড়ে নাই আর কোনহানকার কোন হেফাজতে জামাতে ইসলামের যোদ্ধাদের ছেড়ে দিবে ।
আইন শৃংঙ্খলা বাহীনিকে মারতে গিয়ে কয়েকটা নিজেরাই মরছে সরকারী হিসাবে ১১ জন । কোন সংবিধানে আছে আইন শৃংঙ্খলা বাহীনির উপর আক্রমন করতে গিয়ে পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে মারা গেলে সেই মৃত্যু একজন প্রতিবাদীর মৃত্যূ, একজন বীরের মৃত্যু, একজন দেশ প্রেমিকের মৃত্যু যার জন্য প্রতিবাদ সভা করতে হবে । দেশের আইন শৃংঙ্খলা বাহীনির উপরে যরা আক্রমন করে তারা এক বাক্যে দেশদ্রোহী নতুবা জঙ্গী বাহীনি । দেশদ্রোহী নতুবা জঙ্গী বাহীনির জন্য প্রদিবাদকারী অবশ্যই আইনের চোঁখে দেশদ্রোহী বিষয়টি যারা যারা না জানেন তাদের জানা উচিৎ ।
গত মার্চ মাসে আর দাঙা হাংগামা সহিংসতা বন্ধের কারনে দূই প্ল্যাটুন আর্মি নামানো হয়েছিল ।
সবাইর মুখ দিয়া খই ফুটা শুরু করছিলো । জনসভায় তাদেরকে নিয়ে অতি উৎসাহী বক্তব্য আমাদের শুনতে হয়েছিল । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।