গাজীপুরে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে এক আইনজীবী গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আইনজীবীর নাম মাহবুব আলম (৫০)। তিনি গাজীপুর জজকোর্টের আইনজীবী। ধর্ষিতা শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জয়দেবপুর থানার ওসি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৬-৭ মাস ধরে ১০বছরের ওই শিশু উত্তর ছায়াবীথিস্থ আইনজীবী মাহবুবের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেয়।
আইনজীবীর স্ত্রী টাঙ্গাইল জজকোর্টে চাকুরি করেন। তিনি টাঙ্গাইল অবস্থান করতেন। ছুটির দিনে মাঝে মধ্যে স্বামীর কাছে গাজীপুরে আসতেন। তাদের তিন ছেলে রয়েছে। তারাও কর্মের তাগিদে দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন।
এ সুযোগে ওই গৃহকর্মীকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নিপীড়ন করতেন ওই আইনজীবী। গতরোজারঈদের চাঁন রাতেও তিনি জোরপূর্বক খালি বাসায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
পরদিনও তাকে ধর্ষণ করতে গেলে শিশুটি তার স্বজনদের কাছে ঘটনাটি বলে। পরে খবরটি এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়লে শিশুটি গোপনে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং মঙ্গলবার রাত পৌণে ১১টার দিকে ওই আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিশুটিকে মেডিক্যাল টেষ্টের জন্য হাসপাতালে পাঠনো হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় মামলার প্রক্রিয়া চলছিল। প্রসঙ্গত তিনি ওই মেয়েকে দিয়ে মূলত শরীর টিপাতেন।
আর এই সুযোগে তিনি তাকে প্রথমে জোর করে যৌন নির্যাতন করেন। এরপর প্রায়ই সুযোগ বুঝে তাকে যৌন নির্যাতন করতেন বলে ওই শিশুটিতার অবিযোগে জানান।
বিষয়টি গাজীপুর জেলা আইন সহায়তাকেন্দ্র ও ফাউন্ডেশন গভিড় ভাবে মনিটরিং করছেন বলে জানা গেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।