আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তরুন প্রজন্ম

https://sphotos-b.xx.fbcdn.net/hphotos-ash3/1044271_677079348975727_901576309_n.jpg আমাদের সমাজটা যদি একটা নদী হয়, তাহলে তরুন প্রজন্ম সেই নদীর স্রোত। তাদেরকে যে দিকে পথ করে দেওয়া হবে সেদিকেই তাঁরা প্রবাহিত হবে। সব কিছু ভেঙেচুরে সামনের দিকে এগিয়ে চলবে। নিজের ইচ্ছা থাকা সত্তেও তাঁরা নিজেকে বিপরিত দিকে নিয়ে যেতে পারবেনা। তরুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ, সামাজিক অবস্থান, কর্মসংস্থান সবকিছুই মুষ্টিময় কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য হাতের মুঠোয় রেখে দিয়েছে।

আর সেগুলো দেখিয়ে-দেখিয়ে তরুন প্রজন্মকে পুতুল নাচ নাচাচ্ছে। যারা ভাল নাচতে পারে তাদের মাঝে সেগুলো ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। (ইহা সত্য। আমার পরিচিত কয়েকজন আছে যারা প্রতিনিয়ত নেতাদের হাতের পুতুলের মত নাচে। উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে ভাল একটা অবস্থান।

) তরুনরাও সমাজের সেই সমস্ত গডফাদারদের কথামত আনন্দের সাথে নেচে যাচ্ছে। এছাড়া উপায় নাইতো! পড়শুনা শেষ করে তাদেরকে কর্ম জীবনে ঢুকতে হবে। ভাল একটা চাকরি খুঁজে পেতে হবে। কিন্তু চাকরি কোথায়? আমাদের দেশে চাকরির বাজারও খুব বিশাল না। যেটুকু আছে সেটুকুও কোটা প্রথা নামক অভিশপ্ত একটা প্রথায় সংকুচিত।

প্রকৃত মেধাবীরা কোটার কোটা পেড়িয়ে তাদের যোগ্য অবস্থানে যেতে পারেনা। রাগ, অভিমান, ঘৃনা এবং হতাশায় তাঁরা রাস্ট্রের কপালে থুথু ফেলে। মেধা'র কোমরে কষে লাথি মেরে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য একটা উপদেশ রেখে যায় " মেধাবী না হয়ে চাটুকার হও। সুশিক্ষিত না হয়ে নেতার চরন ধর। ওখানেই শক্তি, ওখানেই মুক্তি।

" প্রায় অধিকাংশ তরুনই নির্ভরতা খুঁজতে গিয়ে এভাবে নেতাদের হাতের পুতুলে পরিনত হয়। এভাবেই গডফাদারেরা সমাজে তরুনদের পরিচালিত করে। তরুন প্রজন্মও স্রোতে গা ভাসিয়ে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় নিজেকে সপে দেয় কোন রাজনৈতিক নেতার চরন তলে! (শাহজাহান আহমেদ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।