গত সপ্তাহের ঘটনা। ভিলারিয়ালের বিপক্ষে গোল করার পর সেকি উল্লাস তার। আমি টিভিতে দেখছি আর ভাবছি এই ছোট্ট যাদুকরটি আসবে আমাদের দেশে! বলছি লিওনেল মেসির কথা। মেসির আগের সেই লম্বা চুল নেই। ছোট ছোট করে কাটা।
মেসিকে এক সপ্তাহ বাদেই দেখলাম কাল। একেবারে নিশ্বাস দূরত্বে। খুব কাছ থেকে। রুপসী বাংলা হোটেলে ছিল আমার অ্যাসাইনমেন্ট। মেসিরা আসবে বলে সকাল থেকেই অপেক্ষায় আছি আমরা দেশি বিদেশি জনা পঞ্চাশেক সাংবাদিক।
একটু পর পর খবর পাচ্ছি এই তো মেসিরা বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে পড়েছে। আবার একটু পর আমার বউ মোবাইলে জানাল এটিএন নিউজে লাইভ দেখাচ্ছে মেসিদের গাড়ি বহর। এই মাত্র আমাদের প্রথম আলো অফিস পার হলো। আমার ততক্ষণে বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেছে।
হঠাৎ দেখি হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে তাড়া।
বুঝলাম ভিনগ্রহের ফুটবলার মেসি এবং তার দল এসে গেছে। উল্লাসে অনেকেই চীৎকার করে উঠল। খানিক বাদে মেসি চলে গেলেন আমারই নিঃশ্বাস ছোয়া দূরত্বে থেকে। আমি মুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলাম খানিকক্ষণ।
দুপুরে স্টেডিয়া, বাফুফে ভবন আর টিএসসিতে ঘুরে কয়েকটা রিপোর্ট করলাম।
এরপর আবার অপেক্ষা মেসিদের অনুশীলনের। যতক্ষণ আর্জেন্টিনার অনুশীলন চলল আমি ফলো করলাম মেসিকে। কিভাবে হাটে, কিভাবে মজা করে, কিভাবে ড্রিবলিং করে, বল পাস দেয়, কর্ণার কিক দেয়। মন্ত্রমুগ্ধ ঘন্টা দেড়েক কেটে গেল। মাঝে মাঝে গ্যালারির দিকে চেয়ে
হাত নাড়া দিচ্ছিল ফিফার দুবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
সমর্থকদের তখন পায় কে? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।