আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে মেসিকে কেউ চেনে না

মেসির বয়স ৩২ বছর!
নাম লিখিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার সুপার লিগের ক্লাব পারসিব ব্যানডাংয়ে!
ভ্রু কুঁচকে ভাবছেন, কোনো পাড় রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থক ব্যঙ্গ করে মেসির অবিচুয়ারি লিখছে? বার্সেলোনা ছাড়ার পর মেসি কী করতে পারে সেই কল্পকাহিনি লেখা হচ্ছে? অথবা ইনজুরিকালীন অবসরে মেসি কোনো নাটক-সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন?

তা হলে শুনুন বাকিটা।
বিশ্বের ধনী ক্লাবগুলো যখন ব্ল্যাংক চেক নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছে মেসিকে পাওয়ার জন্য, সেখানে মেসিকেই দেখা যাচ্ছে ক্লাব থেকে ক্লাবে যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতে। স্থায়ী একটা ঠিকানার সন্ধানে। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করা মেসির ইতিমধ্যেই জল খাওয়া হয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়া, কাতার, অ্যাঙ্গোলা, ক্যামেরুন, তুরস্কসহ সাতটি ভিন্ন দেশের ‘মাত্র’ আটটি ক্লাবে।

পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই কদাচিত্ মাঠে নামার সুযোগ পাওয়া মেসি ৯২টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন সাকল্যে সাতটি! মূলত বদলি হিসেবে মাঠে নামা মেসির ক্যারিয়ার সেরা মৌসুম বলতে ওই ২০০৮-০৯।

যে মৌসুমে মেসি ২৭ ম্যাচে করে ফেলেন দুটি গোল। এর চেয়েও বড় কথা তার পর্তুগিজ ক্লাব এসসি ওলহানেনসে ৩৪ বছর পর প্রথম বিভাগে তাদের জায়গা ফিরে পায়।

শীতের আগমনেও যাঁরা আষাঢ়ে গল্প শোনার আশায় বসেছিলেন এতক্ষণে তাঁদেরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যাওয়ার কথা। কারণ, মানুষের কল্পনারও একটা সীমা থাকে। আর এ গল্পের গরুর গাছ ডিঙিয়ে আকাশে উঠে যাওয়া! কল্পনাকে হার মানালেও মেসির এই গল্প কিন্তু একবিন্দু মিথ্যে নয়।



তবে মেসি ভক্তকুল চাইলে হাঁপ ছাড়তে পারেন। প্রকৃত ঘটনা হলো এই মেসি সেই মেসি নয়। লিওনেল মেসির চেয়ে বছর ছয়েকের বড় এই ‘সিনিয়র মেসি’ ক্যামেরুনের ফুটবলার জর্জেস পারফেইট এমবিদা মেসি। রাজধানী ইয়ান্দেতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ক্যারিয়ার শুরু এই ইয়ান্দেরই ক্লাব তোনেরে ইয়ান্দেতে।

তারপর নিয়তি মেনে বছর ঘুরতেই বদলেছেন ঠিকানা। খেলোয়াড়ি জীবনে তেমন কিছু করতে না পারলেও যাযাবর ফুটবলারের যেকোনো তালিকায় তাঁর নাম বেশ ওপরের দিকেই থাকবে। মাঠের পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কেন বিখ্যাত ‘মিতা’র কল্যাণেই এমবিদার নামও আজ বাংলাদেশে ‘সংবাদ’।
একটা সুন্দর নাম একটা অক্ষয় সম্পদ। এ কথাটির একটি সার্থক উদাহরণ জর্জেস পারফেইট এমবিদা মেসি।

আজ ৮ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। শুভ জন্মদিন, ‘অচেনা মেসি’!

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।