আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাঁতের যত্ন (শিশুদের)। কোন ভিজিট লাগবে না। ৬ মাস থেকে ৫ বছরের বাচ্চা-কাচ্চার বাবা-মাদের জানা থাকা ভাল।

আমার "কত অজানা রে" সিরিজের সব গুলো পোষ্ট সংগ্রহে থাকা বই, গুগোল মামা ও বিভিন্ন সাইট থেকে অনুবাদ করা, তবে কোন ভাবেই কপি-পেষ্ট নয়। জানার জন্য পড়ন, ভুল হলে সঠিকটি বলার দায়িত্ব আপনাদের। আনন্দের সাথে পড়ুন। আমার ব্লগ কেচাল মুক্ত। আজ বলবো শুধু শিশুদের দাঁত , দাঁতের সমস্যা ও প্রতিকার সম্বন্ধে।

যদি আমি ব্যাতিত অন্য কোন ডেন্টিষ্ট ভাই+স্যার+ম্যাডাম যদি আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করে তাহলে আমি কৃতঙ্ঘ থাকবো। কার কোন সমস্যা থাকলে জানাবেন। যদি আমি সমাধান দিতে পারি দিব, না পারলেতো স্যার-ম্যাডাম রা আছেই। কমন জিনিস গুলাই লিখবো যতটা পারি সহজ করে। শিশুদের দাঁত-- সাধারনত শিশুদের দাঁত হ্য় ২০ টা , উপরের পাটিতে ১০ টা নিচের পাটিতে ১০টা।

আপনারা বলেন দুধদাঁত,আমরাও বলি, মেডিক্যাল টার্ম Deciduous teeth.এই দাঁত গুলো অস্থায়ী। সাধারনত ৬ থেকে ৯ মাস বয়সের শিশুদের দাঁত উঠা শুরু হয়। যেহেতু দাঁতগুলো গাম বা মাড়ি ভেদ করে উঠে তাই এই সময় বাচ্চারা খুব অসস্তিতে ভোগে,দাঁত উঠার জায়গা গুলোতে চুলকায় ও কিছু টা লালচে থাকে। তাই দেখবেন এসময় বাচ্চারা সামনে যা পায় তাই মুখে দেয় যেমন খেলনা,কলম,রাবার, এমনকি আপনি কোলে নিলে আপনার পিঠ,গাল,নাকও কামড়ানোর চেষ্টা করে। এটি করে বাচ্চাটি ঐ জায়গাটি চুলকে নেয়।

(হা হা হা , মজার না ? জানতেন ?) ভাল হয় যদি আপনি চুয়েবল কোন কিছু(ফিডারের মুখ,ফার্মেসিতে আজকাল এই বাচ্চাদের জন্য একধরনের চুয়িংগাম পাওয়া যায়) দেন। একটা ব্যাপারে খুব খুব খুব সচেতন থাকবেন,যা দিচ্ছেন তা যেন জীবানুমুক্ত ও পরিস্কার থাকে,কোন আলসেমি বা কম্প্রোমাইজ নাই এই ব্যাপারে। মাতবরি করার দরকার নাই, ডেন্টিষ্টের সাথে সামনা-সামনি কথা বলে নিবেন। শিশুদের দাঁতের যত্নে বাবা মা দের করণীয়ঃ ১। আপনার শিশু সকালে ও রাত্রে দুইবেলা ব্রাশ করছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।

২। প্রত্যেক শিশুকেই তাদের প্রথম জন্মদিনে একজন ডেন্টিস্ট এর কাছে নিয়ে গিয়ে ডেন্টাল চেক-আপ করানো দরকার। এর পর থেকে বছরে দুই বার করে ডেন্টাল চেক-আপ করানো দরকার। ৩। ট্যাপের পানিতেই বেশী পরীমাণে ফ্লোরাইড থাকে।

বোতলজাত পানি শিশুর দাঁতে ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে না। ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় হওয়া প্রতিরোধ করে। ৪। আজকাল চকলেট গুলাতেও ফ্লোরাইড দেয়া থাকে। ৫।

বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই কুলি করাবেন। ৬। যে সব শিশু দাঁত মাজতে চায় না তাদের সুন্দর সুন্দর ব্রাশ গিফ্ট দেন, বিভিন্ন ফ্লেভারের পেষ্ট গিফট দেন কিন্তু জোর করবেন না। মনে রাখবেন জোর করে আপনি কাজ আদায় করতে পরবেন কিন্তু অভ্যাস করাতেপরবেন না। তাই জোর না করে তাদের দাঁত মাজায় আগ্রহী করে তুলেন।

আপনার বাচ্চার দাঁতের কোন সমস্যা থাকলে লিখতে পারেন। অন্তত বলেদিতে পারবো কি করা উচিত। একটা কথা বলে নেই পরিস্কার ভাবে আমি ডেন্টালে পড়ি, ফাইনাল ইয়ারে। আপনাদের সমস্যা গুলো নিয়ে আমি আমার কলেজের স্যার ও ম্যাডামদের সাথে আলোচনা করবো তার পর আপনদের জানাবো। এটাই পরিপুর্ণ সমধান না।

বলতে পারেন সচেতনতা তৈরি করা। সবসময় আপডেট হবে। লাষ্ট আপডেট করার তারিখ শিরোনামে জানবেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।