আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বাংলাদেশের হিস্যা ২৫ ভাগের বেশি‘ আহরার হোসেন আহরার হোসেন বিবিসি ঢাকা

আল্লাহর উপর আস্থা রাখ সব ঠিক হয়ে যাবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, তিস্তা নদীর জল বন্টন নিয়ে চুক্তিতে বাংলাদেশের হিস্যা ২৫ শতাংশের চেয়ে বেশি হবে৻ কিন্তু সেটি কত হবে সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানাতে চাননি৻ ভারতের ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্য সম্প্রতি বলেছেন, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী ভারত তিস্তা নদীর ৭৫ শতাংশ জল পাবে৻ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আগামী মঙ্গলবার দু‘দিনের এক সফরে ঢাকায় যাচ্ছেন৻ এই সফর নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন৻ ভারতে কংগ্রেস দলের এমপি আবু হাশেম খান চৌধুরী সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তিস্তার পানির মাত্র ২৫ ভাগ পাবে বাংলাদেশ—এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘২৫ পার্সেন্টের বেশি পানি পাচ্ছে বাংলাদেশ‘ এবং এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। ‘আমাদের এই চুক্তিটি সম্পূর্ণভাবে সাম্যের ভিত্তিতে হবে এবং তার মধ্যে দিয়ে উভয় দেশেরই যার যার চাহিদা আমরা পূরণ করবো। যৌথভাবে আমরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা, সৌহার্দ্য এসবের উপর ভিত্তি করেই এই চুক্তিটি আমরা করতে যাচ্ছি৻’ আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা অবশ্যই বুঝে নেবো। আমরা ২৫ পার্সেন্ট পেতে যাচ্ছি না এটুকু বলতে পারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ‘আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা অবশ্যই বুঝে নেবো।

আমরা ২৫ পার্সেন্ট পেতে যাচ্ছি না এটুকু বলতে পারি। ‘ আগামী মঙ্গলবার দুদিদেনর যে সফরে ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার সেই সফরের বিস্তারিত পরিকল্পনা জানাতে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি বলেন, মোট দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে ওই সফরে যার একটি হলো অভিন্ন নদী তিস্তা ও ফেনীর পানি বন্টন বিষয়ে। অপরটি হবে একটি ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট যাতে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত থাকবে। সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে স্বাক্ষরিত হবে একটি প্রটোকল যাতে থাকবে অচিহ্নিত সীমানা, অপদখলীয় জমি এবং ছিটমহল বিনিময় বিষয়ক নির্দেশনা।

ঢাকায় রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ট্রানজিট বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী বিনিময় করবেন লেটার অব এগ্রিমেন্ট। দীপু মনি বলছেন, ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা মুজিব চুক্তিতে থাকা দুদেশর মধ্যকার ট্রানজিট বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে যা যা করার দরকার সবই অন্তর্ভুক্ত থাকবে ওই লেটার অব এগ্রিমেন্টে। এছাড়া সাতটি সমঝোতা স্বারকও স্বাক্ষরিত হবে এই সফরের সময়। এর মধ্যে রয়েছে দুদেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, ফিশারিজ করপোরেশন গঠন, বিটিভি ও দূরদর্শনের সংস্কৃতি বিনিময়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিনিময়৻ সুন্দরবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার রক্ষা করার ব্যাপারেও স্বাক্ষরিত হবে আরো দুটি সমঝোতা স্মারক। উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৯৯ সালের পর এবারই প্রথম ভারতীয় কোন প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.