ধর্মনিরপেক্ষ দেশ; পবিত্র ঈদের দিনেও ছুটি নেই স্কুলে। মধ্য কলকাতার শেঠ সুরজমল জালান বালিকা বিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ছুটির তালিকায় নেই ঈদুল ফিতর।
মধ্য কলকাতার সংগঠন ‘সেক্যুলার সিটিজেন ফোরাম’ এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে। ছুটির আর্জি জানানো হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে।
ছুটি পাওয়া না গেলে প্রতিবাদে স্কুলের সামনে দিনভর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ অবরুদ্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিটিজেনস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিদ্দিকী। এতেও ভাবান্তর নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাদের চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা, ‘মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাসে না এলেও কিছু যায়-আসে না। তাদের আসার বাধ্যবাধকতা নেই। ’
এদিকে কলকাতার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ঈদের আগে বাজার জমজমাট।
বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, পার্কসার্কাস, রিপন স্ট্রিট, হাজী মোহাম্মদ মহসীন স্কোয়ার থেকে শুরু করে খিদিরপুর, মেটিয়াবরুজ সর্বত্র ভিড়ে ঠাসা। রকমারি সেমাই, লাচ্ছার পসরা সাজিয়ে রাস্তার দু’পাশে দেখার মতো ভিড় জমেছে। গত বছরের তুলনায় সেমাই ও লাচ্ছার দামও বেশি। কিলোপ্রতি ৫০ টাকা থেকে শুরু। গুণাগুণের বিচারে সেমাইয়ের দাম প্রতি কিলো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
আবার না খোদা মসজিদ চত্বরে লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা থেকে ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত। রকমারি পাজামা-পাঞ্জাবি কিনতে রবীন্দ্রসরণির (লোয়ার চিত্পুর রোড) দোকানগুলোতে বসার জায়গা নেই। পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে হরেক রঙের টুপি আর আতর। মনের মতো জুতো কিনতে কলেজ স্ট্রিট, কলুটোলা, রবীন্দ্রসরণি, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, রাজাবাজার, শিয়ালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, মেটিয়াবরুজ—সর্বত্র ভিড়ে ঠাসা।
আগামীকাল ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা।
খুশির ঈদে শুধু কলকাতা নয়, কেনাকাটায় মেতে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া ও হুগলি জেলার সদর ও মহকুমা শহর। গ্রামও পিছিয়ে নেই। সাজানো হচ্ছে রাস্তা, করা হচ্ছে তোরণ। খবর পাওয়া গেছে কলকাতার মতো দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদ, লক্ষেষ্টৗ, পাটনা, মহীশূর, ব্যাঙ্গালোর, মুরাদাবাদ, মিরাট ও এলাহাবাদ শহরে ভিড় হচ্ছে। পরিধেয় বস্ত্র থেকে আহার্য সেমাই-লাচ্ছা সবই দেদার বিক্রি হয়েছে বা হচ্ছে।
তবে সাধ থাকলেও অনেকের মনের মতো জিনিস কেনার সাধ্য নেই, কারণ দাম যে অনেক বেশি!
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।