মানুষে মানুষে সমানাধিকারে বিশ্বাস করি
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক সদস্য হিসেবে অনেকদিন থেকেই আমরা কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা-পুলিশ নির্যাতন এবং নিরাপরাধ মানুষ হত্যার বিষয়টির যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছি। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার সংস্থা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানলদ্ধ ফল নিয়ে রয়টার্স একটি খবর দিয়েছে। খবরটি বাংলাদেশের বিডিনিউজ ২৪ ডটকমের সৌজন্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আর আপনাদেরকেও অনুরোধ জানাচ্ছি অ্যামনেস্টির আন্তর্জাতিক সদস্য হওয়ার জন্য।
রয়টার্স- ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৮টি স্থানে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের গণকবরের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত বিভাগ।
এ বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে দ্রুত তদন্ত শুরুর আহ্বান জানিয়েছে তারা।
রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার সংস্থার তদন্ত বিভাগ জানিয়েছে, "এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে অজানা কিছু কবরে নাম না জানা অনেকের দেহ সমাহিত রয়েছে। "
তারা আরো জনিয়েছে, "এ অভিযোগের ভিত্তিতে একটি সঠিক এফআইআর রেজিস্ট্রেশন করা এবং এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু উত্তর কাশ্মীর নয়, প্রদেশের যেখানেই এ ধরনের কবর রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে।
"
অজানা কবর সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও এ অভিযোগের ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্তের আহ্বানের ভিত্তিতেই রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার সংস্থা এ ব্যাপারটি আমলে নেয় এবং তদন্ত শুরু হয়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, "পুলিশ যখন স্থানীয় অধিবাসীদের নাম না জানা দেহগুলো কবর দিতে বলে তখন দেহগুলো অজানা জঙ্গিদের বলে তাদের জানায়। কিন্তু পরে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে জানা যায় ২ হাজার ৭৩০ টি দেহের মধ্যে ৫৭৪ টি স্থানীয় অধিবাসীদের। তদন্ত দল ওই ৩৮ টি এলাকায় তদন্ত চালানোর সময় এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।