টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদী দখল হয়ে ক্রমেই তার অবয়ব হারাচেছ। এককালের খরস্রোতা লৌহজং নদী এখন মৃতপ্রায়। নদীর দু’পাশে মাটি ভরাট করে বাড়ীঘর, দালানকোঠা নির্মাণ করায় আগের লৌহজং নদীকে এখন আর চিনাই যায়না। অবৈধভাবে দখল হলেও এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে কোন মাথাব্যাথা নেই। এতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে দখলে মত্ত লোকেরা।
এলাকাবাসী জানায়, লৌহজং নদী এককালে খুব খরস্রোতা ছিল। নদীতে ছিলনা কোন সেতু। পশ্চিম এলাকার লোকদের টাঙ্গাইলে যাতায়াত করতে খুব কষ্ট হত। নৌকা দিয়ে দু’পাড়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক সময় স্রোতের ঘূর্ণিপাকে পড়ে নৌকা ডুবে গেছে। বর্তমান পার্ক বাজারের কাছে ছিল নৌবন্দর।
দুরদুরান্ত থেকে স্টীমার, জাহাজ, লঞ্চ ও বড়বড় নৌকা বাণিজ্যে এ বন্দরে ভীড়তো। এখন বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় একসময় এ নদী দিয়েই চলতো ষ্টীমার, জাহাজ ও বড়বড় নৌকা। ছিল নৌবন্দর। নদীটি সংস্কার না করায় কালের পরিক্রমায় তার নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালের ২/৩ মাস এ নদীতে পানির দেখা মেলে।
আর অবশিষ্ট সময় এ নদী শুকনো খা খা করে। আর এর সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যুরা নদীর দু’পাশে মাটি ভরাট করে গড়ে তুলছে বাড়ীঘর, দালানকোঠা। ফলে এতে ক্রমেই এটি সরু খালে পরিণত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরেই লৌহজং নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। লৌহজং নদীটি মজে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে বাসাবাড়ীর আবর্জনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দূষিত বর্জ্য ফেলে পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলা হচ্ছে।
এতে শহর ও শহরতলীতে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত লৌহজং নদী। ভূমিদস্যুরা মাটি ভরাট করে বড়বড় দালান নির্মাণ করায় এখন আর লৌহজং নদী নিশ্চিহ্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শহরের প্রভাবশালী একটি দালাল সিন্ডিকেট নদীর মাটি ভরাট করে নিজ দখলে নিয়ে অন্যত্র চড়া দামে বিক্রি করছে। এই দালাল চক্র এতই প্রভাবশালী যে নদীর জমি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।