পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন আয়োজিত নিজস্ব কমপ্লেক্সে এ উৎসবে পৌরহিত্য করেন মিশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীমৎ সুমনালঙ্কার মহাস্থবির। এ ধর্মসভায় অর্ধশতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশগ্রহণ করেন।
ধর্মসভায় দেশনা প্রদান করেন প্রজ্ঞাবংশ মহাস্থবির, সুমনা মহাস্থবির, অগ্রজ্যোতি স্থবির, সাধনা জ্যোতি স্থবির।
স্বাগত বক্তব্য দেন বৌদ্ধ মৈত্রী কল্যাণ সংঘের সভাপতি বিনোদবিহারী চাকমা।
ধর্মালোচনায় শ্রীমৎ সুমনালঙ্কার মহাস্থবির বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচার হল বর্ষাবাস।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস ভিক্ষুরা বর্ষাবাস পালন করেন। এ সময় জুরুরি কোনো কাজ ছাড়া ভিক্ষুরা বৌদ্ধ বিহারের বাইরে যান না।
এই বর্ষাবাসের আগে প্রত্যেক ভিক্ষুকে একটি স্নান চীবর (কাপড়) দান করা হয়, যা ওই ভিক্ষু তিন মাস স্নান করার সময় ব্যবহার করবেন। এই দানটি অন্যান্য দানের চাইতেও উত্তম।
মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি এলাকার বৌদ্ধ শিশুঘর (শিশু সদন) এর পরিচালক শ্রীমৎ সুমনা মহাস্থবির বলেন, প্রতিবছর বর্ষবাসের আগে প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে এ অনুষ্ঠান করা হলেও এবার সমন্বিতভাবে এবং ব্যাপকেআয়োজনের মধ্য দিয়ে দানানুষ্ঠান করা হয়েছে।
এ ধরনের অনুষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রামে এবারই প্রথম।
এর আগে সকালে পঞ্চশীল প্রর্থানা, পিন্ডদান অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা অংশগ্রহণ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।