বিএনপির নতুন মিত্র এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদ আবারও বললেন, আগামী বাজেটের আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকারের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নেই।
"এই উপমহাদেশে যারাই দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে তারাই মাথা ঠিক রাখতে পারে না। আওয়ামী লীগও মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। যারা বেশি আসন পায় তাদের পতন হয় খুব করুণভাবে।
"
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত ইফতারে এ কথা বলেন দলের চেয়ারম্যান অলি আহমদ। ইফতারে দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র নেতা-কর্মী ও জামায়াতে ইসলামীর নগর শাখার আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা দুইজন একান্তে ঘনিষ্ঠভাবে কথাও বলেন।
আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে বিএনপির সঙ্গে জোট গড়ার ঘোষণার পরদিনই (গত ৩০ জুলাই) অলি বলেছিলেন, বর্তমান সরকার আগামী বাজেট পর্যন্তও টিকবে না।
অলি এলডিপি'র প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াতনেতা শামসুল ইসলামের কাছে সাতকানিয়া আসনে পরাজিত হয়েছিলেন।
সরকারকে সঠিক পথে আনতে বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যের কারণ হিসেবে অলি বলেন, দ্রব্যমূল্য গত সরকারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। বিচার ব্যবস্থাকে সরকার বিতর্কিত ও দলীয়করণ করেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। তাই বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করলাম।
২০০৬ সালে ২৬ অক্টোবর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অলি।
এরপর সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাকে নিয়ে নতুন দল এলডিপি গঠন করেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তারা আবার আলাদা হয়ে যান।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে জোটের শক্তি বাড়াতে এলডিপি ও বিকল্পধারাকে পাশে পেতে চাইছে বিএনপি। অলি একত্রে থাকার ঘোষণা দিলেও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা এখনো কিছু জানায়নি।
অলির দল এলডিপি গত সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে ভিড়লেও আলাদাভাবে নির্বাচন করে দলটি।
২০০৮ সালের ওই সংসদ নির্বাচনে অলি চট্টগ্রাম-১৩ ও চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি আসনে জয়ী হন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।