আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজেটের সহজ পাঠ

অসতী মাতার পুত্র সে যদি জারজ-পুত্র হয়, অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চয়!

বাজেটের প্রতি গণমাধ্যমের আগ্রহ এবং বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণকে সমৃক্ত করার সরকারী নীতির কারণে গত বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারী বাজেট নিয়ে জনগণের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা ও কৌতুহল বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকারের বাজেটের বিভিন্ন অংশ এবং তা প্রণয়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা থাকলে সহজেই বাজেটের ভালো মন্দ বোঝা যায় এবং সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ সে সম্পর্কে তাদের মতামত দিতে পারেন। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বাজেটের মত সরকারী বাজেটের প্রধান অংশ দুটি: একটিতে থাকে সম্ভাব্য খরচের বিবরণ, আপরটিতে থাকে সেই খরচ মেটাতে যে অর্থ প্রয়োজন তা সংগ্রহের পরিকল্পনা। আমাদের দেশে আয় বা প্রাপ্তির বাজেট নিয়ে আলোচনা হয় বেশী, কেননা জনগণ বাজেটের এই অংশের দ্বারা সরাসরি এবং তৎক্ষণাৎ প্রভাবিত হয়। সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের কর।

বর্তমান অর্থবছরে (২০১০-১১) বিভিন্ন প্রকারের কর থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬,০৪২ কোটি টাকা যা মোট রাজস্ব আয়ের (৯২,৮৪৭ কোটি টাকা) ৮২ শতাংশের মত। করের সিংহভাগ আসে রাজস্ব বিভাগের মাধ্যমে। এর বাইরে লভ্যাংশ ও মুনাফা, সুদ, প্রশাসনিক ফি, জরিমানা, দণ্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ, ভাড়া ও ইজারা, টোল ও লেভী, রেলপথ, ডাকবিভাগ, তার ও টেলিফোনবোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে কিছু রাজস্ব আয় হয়, যা মোট রাজস্বের ১৮ শতাংশের মত (১৬,৮০৫ কোটি টাকা)। রাজস্ব বিভাগের আয়ের প্রধান উৎসগুলো হচ্ছে, আয় ও মুনাফার উপর কর, আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ইত্যাদি। আয়কর আয়ের উপর, মুনাফার উপর কর মুনাফা কর, আমদানিকৃত পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক, আমদানি শুল্কের বাইরে একই পন্যের উপর সম্পুরক শুল্ক, দেশে উৎপাদিত পন্যের উপর আবগারি শুল্ক, প্রতি পন্যের শূল্য সংযোজনের উপর মূল্য সংযোজন কর আরোপ করা হয়।

যেমন, গম থেকে আটা হলে যে মূল্য সংযোজন হল তা উপর কর, আটা থেকে রুটি হয়ে যে মূল্য সংযোজন হল তার উপরে কর আরোপ করা হয়। বর্তমান অথর্বছরে এ সকল খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২,৫৯০ কোটি টাকা। আমাদের অর্থনীতি আমদানি নির্ভর হওয়াতে কোন পণ্য আমদানির উপর শুল্ক বাড়িয়ে দিলে তার দামও বেড়ে যায়। আবার কল-কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর শুল্ক বাড়ালে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। যে সকল পণ্য দেশে তৈরী হয় সেগুলির আমদানী শুল্ক কমানো হলে দেশজ শিল্প হুমকীর মুখে পড়ে।

আয় ও মুনাফার উপর থেকে আদায়কৃত করের পরিমাণ গত কয়েক বছর ধরে আস্তে আস্তে বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশে উপর্জনোক্ষম জনসংখ্যা প্রায় দশ কোটি। অথচ, আয়কর দিয়ে থাকে মাত্র সাত লক্ষ নাগরিক। তবে এরও নতুন ৫ লাখ করদাতাকে করের আওতায় আনা হবে। এ খাত থেকে অর্জিত রাজস্বের মাধ্যমেই বাজেটের সিংহভাগ অর্থায়ন সম্ভব বলে বিভিন্ন সময়ে রাজস্ব বিভাগের চেয়ারম্যানগণ দাবী করেছেন।

আমদানী শুল্ক, সম্পুরক শুল্ক, আয়কর ইত্যাদি হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। আমাদের বাজেটের একটি বড় অংশের অর্থায়ন হয়ে থাকে পরোক্ষ করের মাধ্যমে। বাংলাদেশে সবথেকে বিস্তৃত পরোক্ষ কর হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট। আপনি কোন পণ্য বা সেবা কিনতে গেলে আপনাকে ভ্যাট দিতে হবে। পরোক্ষ করের অধিক বিস্তৃতি অর্থনীতির জন্য ভালো নয়, কেননা তাতে ধনীদের তুলনায় দরিদ্রকে সামর্থ্যের তুলনা অনেক বেশী কর দিতে হয়।

যেমন একজন রিক্সাচালককে একটা সাবান কিনতে গেলেও তাকে ভ্যাট দিতে হয়, নিজের অজান্তেই। সেই একই পরিমাণ ভ্যাট দিতে হয় দেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তিটিকে। এছাড়া গরিব মানুষটি তার আয়ের বড় অংশ খরচ করে ফেলে আর ধনীরা তাদের আয়ের খুব সামান্য অংশই দৈনন্দিন প্রয়োজনে খরচ করে। বর্তমান অর্থবছরে ৩৭.৩% ভ্যাট আদায় করা হবে। সরকার কিছু বৈদেশিক অনুদানও পেয়ে থাকে, ২০১০-১১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭৫৮ কোটি টাকা।

সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে তা দিয়ে খরচের পুরোটা মেটানো যায় না। যেমন বর্তমান বছরে মোট ব্যায়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১,৩২,১৭০ কোটি টাকা অথচ, আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৯২,৮৪৭ কোটি টাকা। আয় দিয়ে ব্যয় মেটানো যায় না বলে একে বলে ঘাটতি বাজেট। এই ঘাটতি মেটাতে সরকারকে বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিতে হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বৈদেশিক ঋণ।

এই ঋণ আবার বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি - ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নেয়া ঋণের সুদের হার থাকে কম, তবে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয় যে, এই ঋণ প্রাপ্তির শর্তগুলো থাকে বেশ কঠিন এবং তা সব সময় দেশের স্বার্থের অনুকুলে যায় না। সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ঋণ নিয়ে থাকে। সেগুলোর সুদের হার কিছুটা বেশী থাকে। সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট নামে আরেক ধরণের ঋণ রয়েছে।

তাতে যে সাপ্লায়ারকে কাজটি দেয়া হয়, সেই ঋণের ব্যবস্থা করে। এক্ষেত্রেও সুদের হার বেশী থাকে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০,৮৩৭ কোটি টাকা । বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দিনে দিনে কমে যাওয়া এবং এই ঋণগুলো কঠিন শর্তসাপেক্ষ হওয়াতে সরকারকে জরুরী খরচ মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিতে হয়। তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে নেয়া ঋণ।

একদিকে যেমন এই ঋণের সুদের হার থাকে অনেক বেশী, তেমনি ব্যাংকগুলো থেকে সরকার নিজেই ঋণ নেয়াতে তারল্য সংকট দেখা দেয়, সাধারণ জনগণের নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যাংকে থাকে না। এই ঋণটি তাই খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু, বেশ কয়েক বছর ধরে বাজেটে এই ধরণের ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমান অর্থবছরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে নেয়া ঋণের পরিমাণ ধরা হয়ে্ছে(নিট)১৫,৬৮০ কোটি টাকা। নীট অর্থ হল ব্যাংকের ধার শোধ দেওয়ার পর যেটা থাকে।

এই ধরণের আরেকটি ঋণ সরকার নিয়ে থাকে জনগণের নিকট থেকে। বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্র ও বন্ড বিক্রয় করে সরকার এই ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ঋণের মত এটিও অর্থনীতির বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে না। বাংলাদেশ সরকারের খরচের বাজেট মূলত দুইভাগে বিভক্ত। একটিতে থাকে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বাজেট।

তাকে বলে উন্নয়ন বাজেট। উন্নয়ন বাজেটে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া থাকে। তবে প্রকল্পগুলো পাশ হয় সারা বছর ধরে, ফলে বাজেট তৈরীর সময় অনেক প্রকল্পই অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকে। বাজেটে তাদের নামগুলো উল্লেখ করা থাকে এবং তাদের বিপরীতে সম্ভাব্য মোট বরাদ্দ থোক বরাদ্দ হিসাবে দেখানো হয়। থোক বরাদ্দ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়ে থাকে।

২০১০-১১ সালে মোট বাজেটের ২৯ শতাংশ ছিল শতাংশ অর্থাৎ ৩৮,৫০০ কোটি টাকা ছিল উন্নয়ন ব্যয়। এ অর্থের ৫১% অভ্যন্তরীণভাবে অর্থায়ন করা হবে যা ব্যাংক ঋণ ও ব্যাংক বহির্ভুত ঋনের মাধ্যমে নেওয়া হবে। উন্নয়ন বাজেটের অধীনের প্রকল্প, সেগুলির জনবল, অফিস - ইত্যাদি অস্থায়ী। প্রকল্প শেষ হবার সাথে সাথে সেগুলি ওবিলুপ্ত হয়ে যায়। উন্নয়ন বাজেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় ও অর্থপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। আবার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। যেমন কোন এলাকায় রাস্তা ও ব্রীজ নির্মানের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে তার ফলে সে এলাকার জনগণের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা - ইত্যাদিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে জনগণের একটি অংশ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়, যা পরবর্তীতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তবে উন্নয়ন বাজেটের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হওয়ার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে এবং এটির মাধ্যমে অনেক বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটে থাকে।

সরকারের স্থায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো চালানোর জন্য যে খরচ প্রয়োজন, তা মেটানো হয় অনুন্নয়ন বাজেট থেকে। যেমন সরকারী চাবুরীজীবিদের বেতন ভাতা, সরকারী অফিসসমূহের বিভিন্ন ব্যয় ইত্যাদির বরাদ্দ থাকে অনুন্নয়ন বাজেটে। এক সময় ছিল যখন উন্নয়ন বাজেটের পুরোটাই যোগান দেয়া হতো বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা থেকে আর অনুন্নয়ন বাজেটের খরচ চালানো হতো সরকারের আদায়কৃত রাজস্ব থেকে। সে কারণে অনুন্নয়ন বাজেটকে অনেকে রাজস্ব বাজেট বলে থাকেন। অনুন্নয়ন বাজেটের প্রধান অংশটি ব্যয় হয় সরকারী চাকুরীজিবিদের বেতন-ভাতাদি বাবদ।

২০১০-১১ অর্থবছরে অনুন্নয়ন বাজেট ৯২৪৭৬ কোটি টাকা যারা ২২% খরচ হবে বেতন-ভাতা বাবদ। কৃষিসহ বিভিন্ন খাতকে দেয়া সরকারে ভর্তুকীর পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান অর্থবছরে ভর্তুকীর পরিমাণ ছিল ৭,৬৬৫ কোটি টাকা। কৃষির মত গুরুত্বপূর্ণ খাতে ভর্তুকীর কোন বিকল্প নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে ভর্তুকীর অর্থ অপচয়ের খবর পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়।

এ ধরণের আরেকটি বর্ধিষ্ঞু খরচের হচ্ছে খাত পেনশন। গত কয়েক বছর থেকে ধীরে ধীরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটকে একীভূত করার একটি প্রক্রিয়া চলছে। এর অংশ হিসাবে উন্নয়ন বাজেটের কিছু প্রকল্পও অনুন্নয়ন বাজেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। বাজেটে তাদের জন্য একটি পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং নাম দেয়া হয়েছে রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচি। এবার বাজেট তৈরীর প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু ধারণা নেয়া যাক।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো নামে একটি নতুন বাজেট ব্যবস্থা চালু করছে। এই ব্যবস্থায় প্রকৃতপক্ষে নতুন অর্থবছর শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই বাজেট তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। প্রথমে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকগণ পরবর্তী বছরের মোট বাজেটের আকার সম্পর্কে একটি প্রাক্কলন করেন। সরকারের অগ্রাধিকার, আবশ্যকীয় ব্যয় - ইত্যাদি বিবেচনা করে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শের পর প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের জন্য ব্যয়ের একটি প্রাথমিক সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং মন্ত্রণালয়গুলোকে সেই সীমার মধ্যে মোটা দাগে তাদের বাজেট তৈরীর করতে বলা হয়। মন্ত্রলায়গুলোকে যেমন তাদের কোন খাতে কত বরাদ্দ প্রয়োজন তা উল্লেখ করতে হয়, তেমনি সে অর্থ দিয়ে কি কি অর্জিত হবে এবং পূর্ববর্তী বছরের বরাদ্দ দিয়ে কতটুকু অর্জিত হয়েছে তা জানাতে হয়।

প্রথম দফায় মোটা দাগের এই বাজেট পরিকল্পনার পর অর্থ বিভাগ ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়, তারপর মন্ত্রণালয়ের ব্যয়সীমা পুননির্ধারণ করা হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়গুলো আবার তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, বিভাগ ইত্যাদির জন্য ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দেয় এবং তার ভিত্তিতে বাজেট প্রাক্কলন তৈরী করতে বলে। এই ধাপে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো থেকে বরাদ্দের চাহিদা সংগৃহীত হয়। দেখা যাচ্ছে, বাজেট তৈরীতে একদিকে যেমন জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোকে বিবেচনা করা হচ্ছে, তেমনি মাঠ পর্যায়ের চাহিদাকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণ যত বেশী অংশ নিবে, ততো গণমুখী ও কার্যকর বাজেট তেরী করা সম্ভব হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.