আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরিশিরি ভ্রমন-২

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক ১৪। ০৩। ১৩, বিকাল, দুপূরে খাবার পর একটু গড়িয়ে নিচ্ছাম। কারেন্ট থাকেনা বলে মোবাইল, ক্যামেরা চার্জও দিতে পারছিনা তেমন। অল্প চার্জ ছিলো বলে হঠাৎই বন্ধ হয়ে গেছিল মোবাইল, অ্যালার্ম ছিলো ০৪.৪৫টায়, বেজে ওঠার পর মোবাইল খুললে দেখি অর্পার টেক্সট-'৫ টায় দুলাভাই লোক পাঠাবে, তৈরী থেকো ঘুরতে নিয়ে যাবে তোমাদের'।

ঠিক ৫টায় নিচে মোটর সাইকেলের আওয়াজ শুনলাম, ব্যালকনীতে গিয়ে দেখি ৩টা বাইক দাড়িয়ে। অন্য দুজন অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও আমি বেরোবার প্রস্তুতি নিয়ে নিচে নেমে এলাম। আমরা কি কি দেখেছি আর কি কি দেখার আছে ওদের সাথে যখন মেলাতে গেলাম সমীকরন মিললো না আমার, আমরা আসল ছেড়ে নকল দিয়ে পুরোটা সকাল কাটিয়েছি। তারা মিয়া আর এরশাদ আন্তিকতার সাথে ঠকিয়েছে আমাদের। তড়িঘড়ি করে অন্য ২ জনকে ডেকে বললাম সব, আমার মতই বেকুব হয়ে গেলো ওরা।

কোনমতে তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাইকের পিছনে চড়ে। বিখিল দা, রূবেল, সাকু ওরা আমাদের নিয়ে গেলো সোমেশ্বরীর তীরে সাখাইদ বাধে, ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম এখন নদী যে পথে চলছে ওটা আগে ছিলো গ্রাম,বন্যায় পরিবর্তিত হয়েছে নদীর গতিপথ। সাগরদীঘী দেখলাম, যদিও নেই তার আগের সেই জৌলুস। গল্প প্রচলিত আছে প্রাচীনকালে রাজা জনগনের পানির কষ্ট লাঘবের জন্য দীঘী খনন করেন কিন্তু দীঘীতে পানি না উঠলে তিনি স্বপ্নাদৃষ্ট হন রাণীকে দীঘীতে বিসর্জন দিলেই উঠবে পানি। জনগনের জন্য রাণী তাঁর জীবন বিলিয়ে দেন।

কালক্রমে দীঘী এখন স্বচ্ছ জলের ডোবায় পরিনত হয়েছে। জাহাঙ্গীর আর শাহাদত নামে আমাদের ২ জন মোটর বাইক গাইড ঠিক করা হলো। আগামীকাল সকাল ৭টায় রওনা হবো আবার এটা ঠিক করে সবাই মিলে সন্ধ্যার নাস্তা সেরে রূমে ফিরে এলাম। রাতের খাবারের পর সকালের অপ্রাপ্তি আর আগামীকালের সম্ভাব্য সমৃদ্ধ ভ্রমন নিয়ে কথা বলতে বলতে আপন করে নিলাম সারাদিনের ক্লান্তিকে, উপহার দিলাম নির্মল ঘুমের রাজ্য। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।